łye - ত্রিসন্ধি। ইহার কারণ অনুসন্ধান করিলে তোমরা বুঝিতে পারিবে যে, স্রোতের জল আপনার পথ প্রস্তুত করিয়া লয় । যে স্রোত যত প্রবল, তাহার নিজের পথ প্রস্তুত করিবার শক্তিও তত অধিক । জল যতক্ষণ চলিতে থাকে, ততক্ষণ জলের পঙ্ক নিম্নে পতিত হইবার সেরূপ সুবিধা প্রাপ্ত হয় না । কিন্তু তাহার গতি যতই মন্দীভূত হইয়া আইসে, জলে মিশ্রিত কর্দম ততই নিক্ষে যাইতে থাকে। অবশেষে জল যখন একেবারে স্থির হইয়া যায়, তখন তৎকর্তৃক ভূপৃষ্ঠ হইতে সংগৃহীষ্ঠ তাবৎ বস্তুই নিম্নে পড়িয়া যায়। এই জন্যই বৃষ্টির পরের দিন ভূমিতে সঞ্চিত জল পরিষ্কৃত হয় ; এইরূপে বালুক ও কর্দম যতই নিক্ষে পতিত হয়, সেই স্থান ক্রমে ততই উচ্চ হইয়া উঠে । বৃষ্টির জলের সম্বন্ধে যাহা দেখিলে নদীর সম্বন্ধেও তাঁহাই ঘটে । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্রবণের জল যখন নিম্নাভিমুখে ধাবিত হয়, তখন সেই জল ভূপৃষ্ঠ হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপলখণ্ড, মৃত্তিকা প্রভৃতি বহন করিয়া লইয়া চলে । এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধারা যখন সম্মিলিত হইয়া প্রবলতর মূৰ্ত্তি ধারণ করে, তখন তাহাদের বহন করিবার শক্তিও বৰ্দ্ধিত হয়। নদীর উৎপত্তিস্থলে, পৰ্ব্বতের পাশ্বদেশ হইতে নিম্ন ভূমির ঢালু অপেক্ষাকৃত অধিক । সুতরাং তথায় নদীর গতিও দ্রুততর হয় । এই জন্য কর্দম, প্রস্তর প্রভৃতি যাহা নদী বহন করিয়া লইয়া আইসে, তাহা নিম্নে পতিত হইবার সুযোগ প্রাপ্ত হয় না। কিন্তু অপেক্ষাকৃত সমতল ভূমিতে পৌঁছিলে তাহার গতি মন্দীভূত হইয়া আইসে। স্বতরাং
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।