ত্রিসন্ধি । Ե, } অপেক্ষাকৃত গুরুভার দ্রব্যসমূহ নিম্নে পতিত হইতে থাকে। অবশেষে সমুদ্রে পৌঁছিলে তাহার জল অপেক্ষাকৃত স্থির হইয় যায় । তখন তাহার কর্দম প্রভৃতি সঙ্গমস্থলে সঞ্চিত হইয়া নূতন ভূমি গঠিত করিতে থাকে। তোমাদের গ্রামের নিকট কোনও নদী থাকিলে এ ব্যাপার তোমাদের নিকট নূতন বোধ হইবে না। তোমরা দেখিয়৷ থাকিবে যে, যে স্থানেই নদীর স্রোত বাধিত হইবার কোনও কারণ ঘটিয়াছে, সেই স্থানেই নদী নুতন চর প্রস্তুত করিয়াছে। বাঙ্গালা দেশে এরূপ নদী নাই যাহার মধ্যে কোনও স্থানে চড়া পড়ে নাই । বাঙ্গাল দেশে নদীর এই উপদ্রব অহরহ সঙ্ঘটিত হইতেছে । নদীতীরস্থিত কত গ্রাম, কত সমৃদ্ধ জনপদ একেবারে বিলুপ্ত হইয়াছে। পুনরায় কত নূতন গ্রাম, নূতন সহর গঠিত হইয়াছে। কক্ত নদী তাহার পূর্ব খাত সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করিয়া নূতন খাত প্রস্তুত করিয়াছে । পলাশীর যুদ্ধের সময় ভাগীরথী পলাশীক্ষেত্রের নিম্নে প্রবাহিতা ছিল, এক্ষণে সে স্থান হইতে অনেক দূরে সরিয়া গিয়াছে। গঙ্গা, ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা প্রভূতি নদীর গত দশ বৎসরের মধ্যেই কতই না পরিবর্তন হইয়াছে—পূর্বের ত কথাই নাই । কিন্তু কেবল বাঙ্গাল দেশ নহে—সমগ্র এসিয়াখণ্ডে নদীসমূহ যেরূপ এক দিকে পুরাতন উচ্চ ভূমিখণ্ড সকল ক্ষয় করিতেছে, অন্য দিকে সেইরূপ নূতন ভূভাগ স্বষ্টি করিতেছে। , W2
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।