ক্রিসন্ধি । 画 * yరి ঘুরিতে থাকে, তাহা হইলে পাঠতে। আয়ত্ত হয়ই না, এৰং চিত্তবিক্ষেপের কুঅভ্যাস দাড়াইয়া গেলে, ইহার পরে শত চেষ্টাতেও মনঃস্থির করা বিদ্যার্থীর পক্ষে একপ্রকার দুঃসাধ্য সাধন হয় । মনকে সংযত করিবার অভ্যাস বালককাল হইতেই করা উচিত। পৃথিবীতে যাহারা জ্ঞানী ও বিদ্বান বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন, তাহাদের সকলেরই মনঃসংযমের শক্তি অসাধারণ । বস্তুতঃ এই শক্তি যথেষ্ট পরিমাণে না থাকিলে জ্ঞানার্জনের প্রয়াস নিস্ফল হয়। কেবল জ্ঞানার্জনের বা বিদ্যার্জনের কথাই বলিতেছি কেন, মনঃসংযম না থাকিলে কোন কৰ্ম্মেও সিদ্ধিলাভ করা যায় না । যাহার মন দশদিকে বিক্ষিপ্ত, সে কেমন করিয়া কোন কৰ্ম্মকে সুসম্পন্ন করিবে ? প্রত্যেক কৰ্ম্মের ভিতরেই একটা উদ্দেশ্য থাকে, সেই উদ্দেশ্যকে উত্তমরূপে হৃদয়ঙ্গম করা আবশ্যক। তৎপরে একটা নির্দিষ্ট প্রণালী অবলম্বন পূর্বক সেই উদ্দেশ্য সাধনে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে হয়। তখন যে সাবধানত, স্ববিবেচনা, তৎপরতা, এবং সর্বাপেক্ষা মনঃসংযমের আবশ্যকতা হয়, বিক্ষিপ্তচিত্ত ব্যক্তির মধ্যে সেই সকল সদগুণ থাকা একেবারেই অসম্ভব। প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক নিউটনের অসাধারণ মনঃসংযম ছিল । র্তাহার সম্বন্ধে গল্প আছে যে, একদা নিউটন তত্ত্বালোচনায় নিমগ্ন রহিয়াছেন, এমত সময়ে জনৈক ভদ্র মহিলা, উহার সহিত কোনও কার্য্যোপলক্ষে সাক্ষাৎ করিতে আইসেন। সেই
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।