পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসদ্ধি । o همی সিক্ত হইল। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! বীর-বালক শক্তসিংহের মুখমণ্ডলে কষ্টের কোনও চিহ্নই লক্ষিত হইল না । :த் একদা এই ভ্রাতৃদ্বয় চিতোর হইতে দূরে এক অরণ্যে মৃগয়ার উদ্দেশে গমন করেন । হঠাৎ একটা লক্ষ্যভেদ লইয়া তাহীদের উভয়ের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হইল। বিবাদের অগ্নি প্রশমিত না হুইয়া উত্তরোত্তর বৰ্দ্ধিত হইয়াই চলিল । অবশেষে প্রতাপসিংহ ক্রোধে অন্ধ হইয়া এক ভীষণ শেল উত্তোলন করিলেন এবং সরোধে কহিলেন “আইস, কাহার লক্ষ্য অব্যর্থ, তাহা এইবার স্থির করা যাউক ।” শক্তসিংহও উত্তেজিত হইয়া কহিলেন, “তাহাই হউক।” তখন উভয়েই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইলেন। রাজপুতজাতির প্রথানুসারে যুদ্ধের পূর্বে কনিষ্ঠ শক্তসিংহ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রতাপসিংহের চরণ-বন্দনা করিলেন। প্রতাপসিংহও তাহার মস্তকে হস্ত রাখিয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । তৎপরে শেল লইয়া পরস্পর পরস্পরকে আক্রমণ করিলেন । মৃগয়ার জন্য যে সকল লোক রাজভ্রাতাদিগের সঙ্গে আসিয়াছিল, তাহারা কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া দণ্ডায়মান রহিল। তাহার বুঝিল স্তুে নিমেষের মধ্যেই ভ্রাতৃদ্বয়ের মধ্যে একজন মানবলীলা সম্বরণ করিবেন ; কিন্তু তাহাদিগকে বাধা প্রদান করিবার সাহস তাহদের মধ্যে কাহারও ছিল না । চিতোরের রাজ-পুরোহিত দূর হইতে এই ভীষণ ব্যাপার দর্শন করিয়া “মহারাজ, ক্ষান্ত হউন, ক্ষান্ত হউন !” এই কথা বলিতে বলিতে উভয় ভ্রাতার মধ্যস্থলে আসিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। কিন্তু