পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵԵ* ত্রিসন্ধি । পুরোহিতের সেই ধীর, স্থির মূৰ্ত্তি দর্শন এবং তাহার সামুনয় বচন শ্রবণ করিয়াও ভ্রাতৃদ্বয় যুদ্ধ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন না। রাজপুরোহিত সৰ্ব্বদাই রাজবংশধরগণের কল্যাণ কামনা করিতেন। রাজবংশধরগণ যাহাতে কুশলে জীবনযাত্রা নির্ববাহ করেন; তজ্জন্য তিনি দেবসেবা, স্বস্ত্যয়ন ও ব্ৰতাদির অনুষ্ঠান করিতেন। এক্ষণে রাজকুমারদ্বয়কে পরস্পরের নিধনে কৃতনিশ্চয় দেখিয়া তিনি অতিশয় উদ্বিগ্ন হইলেন । বারস্বার নানারূপে র্তাহাদিগকে প্রকৃতিস্থ করিবার প্রয়াস যখন নিস্ফল হইল, তখন তিনি এক তীক্ষুধার ছুরিক স্বীয় বক্ষঃস্থলে বিদ্ধ করিয়া ভ্রাতৃদ্বয়ের সম্মুখেই প্রাণত্যাগ করিলেন। রাজপুরোহিত আত্ম-হত্যা করিলেন বলিয়া, চতুর্দিকে হাহাকার রব উত্থিত হইল। প্রতাপসিংহ ও শক্তসিংহ নিম্পন্দ নির্ববাক হইয়া কিয়ৎকাল দণ্ডায়মান রহিলেন । পুরোহিতের মৃতদেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া তাহারা আপনাদের ক্রোধজনিত আত্মবিস্মৃতির নিমিত্ত অনুতপ্ত হইলেন। তাহারা বুঝিলেন যে, • তাহাদের একজনের প্রাণরক্ষার্থেই পুরোহিত স্বীয় প্রাণ বিসর্জন দিলেন । চিতোর-রাজবংশকে রক্ষা করিবার জন্য যে স্থানে পুরোহিত আত্ম-বলিদান করিয়াছিলেন, মহারাণা প্রতাপসিংহ সেই স্থানে একটা স্মৃতি-স্তস্ত নিৰ্ম্মাণ করাইলেন। অদ্যাপি সেই স্মৃতি-স্তম্ভ পথিকদিগের দৃষ্ট্রিপথে পতিত হইয়া সেই পুরোহিতের আত্মবিসর্জনের কাহিনীর স্মৃতি র্তাহাদের মনে জাগরূক করে।