YSS ত্রিসন্ধি । বিষের মতন পশিল সে কথা । দানশীলতায় তারে হাতেম জিতিয়া রহিবে, ইহা কি নৃপতি সহিতে পারে ? কিঙ্করে ডারিক গোপনে তাহারে জানালেন অভিলাষ— “হাতেমমুণ্ড সেই রজনীতে দেখিবারে তার আশ ।” o জনতা ছাড়ায়ে নগরপ্রান্তে চলে কিঙ্কর একা— দৈবাৎ সেথা স্বপুরুষ এক যুবাসনে তার দেখা ! এমন মধুর বচন তাহার, এমন বিনয় মরি, ফুলভারে আছে যেন মধুময় হৃদয় তাহার ভরি! কিঙ্করে তুষি দু’দণ্ডে তারে প্রাণের সুহৃৎ মত করে ব্যবহার, ঘরে ল’য়ে রহে পরিচর্য্যায় রত । কি করিয়া তারে করিবে যে সেবা ভাবিয়া না পায় যেন— ভাবে কিঙ্কর, পৃথিবীতে কতু আছে কি সুজন হেন ? সেদিন রজনী অমনি কাটিল ; পরদিন উঠি প্রাতে কিঙ্কর স্মরে রাজার আদেশ । কি ক’রেছে গত রাতে ? রাজাজ্ঞা সে যে গিয়াছে ভুলিয়া, এখন হিসাব তার মাগিলে নৃপতি—কি বলিবে তাহা ভাবিয়া না পায় আর ! যুবক তাহারে দিন দুই আরো থাকিবার লাগি বলে— এমন করুণ মিনতি তাহার, এড়াবে যে কোন ছলে এহেন সাধ্য রহিল না আর । কিঙ্কর অবশেষে, জানাল সে চলে কি আদেশ বহি, কোথায়, কি উদেশে !
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/১৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।