পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১০
ত্রিসন্ধি
১০

о о ত্রিসন্ধি । কিয়ৎক্ষণ পরেই মহাবীর অর্জনও ভূতলশায়ী হইলেন। তখন বৃকোদর উদ্বেলিত শোকোচ্ছসি সংবরণ করিয়া পুনরায় যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ ! যিনি সত্যবাদী, জিতেন্দ্রিয়, পরিহাসচ্ছলেও যিনি কদাপি মিথ্যাবাক্য প্রয়োগ করেন নাই, কি অপরাধে তাহাকে ভূতলে পতিত হইতে হইল ?” যুধিষ্ঠির উত্তর করিলেন, “ভাই । অৰ্জ্জুনের মনে বীরত্বের অভিমান ছিল। বীরত্বাভিমানী হইয়া অৰ্জ্জুন প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন, আমি একদিনেই সকল শত্রু সংহার করিব । কিন্তু তিনি এই প্রতিজ্ঞা পালন করিতে পারেন নাই। বিশেষতঃ মহাবীর অর্জন অন্যান্য ধনুৰ্দ্ধরদিগকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখিতেন । এই স্কুল কারণেই উহার এই দশ ঘটিল।” এই বলিয়া যুধিষ্ঠির, ভীম ও কুকুরটাকে সঙ্গে লইয়া, পুনরায় শান্ত চিত্তে গমন করিতে লাগিলেন । এবার মহাবীর ভীমসেন স্বয়ংই কদলী বৃক্ষের ন্যায় ধরাপৃষ্ঠে পতিত হইলেন। ধরাতলে পতিত হইয়াই তিনি আকুল চিত্তে উচ্চৈঃস্বরে ধৰ্ম্মরাজকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহারাজ ! আমি আপনার চিরামুগত দাস, কি অপরাধে আমার এই দশা ঘটিল ?” ধৰ্ম্মরাজ কহিলেন, “ভীম ! তুমি অন্তকে না দিয়া উপাদেয় বস্তু সকল স্বয়ং ভোজন করিতে, এবং তোমার স্যায় বলবান লোক পৃথিবীতে আর নাই, তোমার মনে এই অহঙ্কার ছিল । ভাই ! সেই অপরাধেই তোমাকে এই অবস্থা লাভ করিতে হইল।” পাপ বিষণ্ডুল্য। যেরূপ, মানবদেহে বিন্দুমাত্র বিষ