ত্রিসন্ধি । ➢ፃ বন্ধুকে একখানি পত্রে আত্মজীবনচরিত লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন। সেই পত্রে এইরূপ প্রকাশ ষে, তাহার ধৰ্ম্মমতের জন্য তিনি পিতৃগৃহ হইতে বিতাড়িত হইয়াছিলেন। তখন তাহার ষোড়শ বৎসর বয়স ছিল । সেই বয়সে তিনি নানা দেশ ভ্ৰমণ করিলেন । ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের ভাষা শিক্ষা করিয়া তত্ৰত্য ধৰ্ম্মগ্রন্থ সকল অধ্যয়ন করিলেন । অবশেষে হিমালয় লঙ্ঘন পূর্বক সেই অপূর্ব সাহসী বালক তিব্বতে গমন করিলেন। বোধহয় বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম অনুসন্ধান মানসে তিনি তিববত যাইয়া থাকিবেন । কিন্তু ভাবিয়া দেখ, তখন ইংরাজ শাসন ভালরূপে প্রবর্তিত হয় নাই, সৰ্ববত্র দস্থ্য তস্করের ভীতি, যাতায়াতের কোন সুবিধা ছিল না এবং এক জিলা হইতে অন্য জিলায় গমন করাই এক ভাবনার ব্যাপার ছিল। সেই সময়ে উত্তঙ্গ হিমগিরি লঙ্ঘন করা একজন ষোড়শ বর্ষীয় বালকের পক্ষে অসাধারণ কাণ্ড বলিতেই হইবে । দুর্গম ভয়সস্কুল পার্বত্য তুষার-পথ অতিক্রম করা এক্ষণেও আশ্চৰ্য্য ব্যাপার বলিয়া পরিগণিত হইবে । যাহা হউক, রামমোহন তিববত হইতে গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন। তাহার পিতা রামমোহনের সংবাদ না পাইয়া উৎকষ্ঠিত হইয়া নানাস্থানে লোক প্রেরণ করিয়াছিলেন । তিনি প্রত্যাগত হইলে তাহার পিতা মাতা উভয়েই আনন্দিত হইলেন । ংস্কৃত শাস্ত্রচর্চায় তাহার আলস্য ছিল না। বেদ, স্মৃতি, পুরাণ, ব্যাকরণ সমস্তই তিনি একে একে অধ্যয়ন করিয়া সমাপ্ত করিলেন। হিন্দুশাস্ত্র-সমুদ্রের মধ্যে যতই তিনি গভীরতর— ૨
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।