&e - ত্রিসন্ধি । হিব্রুর স্যায় দুরূহ ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন। বাইবেল পাঠ করিয়া মহাপুরুষ খৃষ্ট ও তাহার ধৰ্ম্মমতের উপর রামমোহনের প্রগাঢ় ভক্তি ও অনুরাগ হইল । রামমোহন ইহার পর যখন ইংলণ্ডে গমন করিয়াছিলেন তখন তত্ৰত্য বহুলোক র্তাহার খৃষ্টধৰ্ম্মে অনুরাগ দর্শন করিয়া র্তাহাকে খৃষ্টান ভাবিয়াছিলেন। আবার মুসলমানগণ র্তাহাকে মৌলবী রামমোহন রায় এবং “জবর দস্ত” মৌলবী বলিতেন। জগতের সকল বড় বড় ধৰ্ম্মের সার সত্য সকল গ্রহণ করিয়া রামমোহন আমাদিগকে তাহা দান করিয়া গিয়াছেন । সর্ববদেশের মানবের প্রতি, ধৰ্ম্মের প্রতি, শ্রদ্ধা রক্ষা করিতে তিনি আমাদিগকে শিক্ষা দিয়া গিয়াছেন । ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের ইচ্ছায় ও রামমোহন রায়ের সবিশেষ চেষ্টায় ভারতবর্ষে সতীদাহ প্রথার নিবারণ হয় । রামমোহন রায়ের পূর্বে সহৃদয় ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট এ সম্বন্ধে চেষ্ট করিয়াছিলেন, কিন্তু এ দেশীয় লোকের ধৰ্ম্মমত ও সামাজিক রীতি নীতির উপর হস্তক্ষেপ করা গবর্ণমেণ্টের আদর্শবিরুদ্ধ হওয়াতে এ সম্বন্ধে হঠাৎ কোন নিষেধ প্রচার করিতে গবৰ্ণমেণ্ট ইতস্ততঃ করিতেছিলেন। সুতরাং এ সম্বন্ধে এতদেশীয় পণ্ডিতগণের সহিত গবৰ্ণমেণ্ট আলোচনা করিতেছিলেন । লর্ড ওয়েলেসলীর শাসনকালের শেষ ভাগ হইতে আরম্ভ করিয়া লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের শাসনকাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ১৮০৫ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮২৯ খৃষ্টাব্দ
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।