পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি । ९> পৰ্য্যন্ত, এ সম্বন্ধে গবর্ণমেণ্ট কোন নিষেধসূচক নিয়ম প্রস্তুত করেন নাই। সতীদাহ সম্বন্ধে যে সকল প্রতিবেদন (রিপোর্ট ) গবর্ণমেণ্ট প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহাতে প্রায় ছয়শত বিধবা প্রতি বৎসর সহমৃতা হইতেন এরূপ সংবাদ প্রাপ্ত হওয়া যায়। রামমোহন রায় বাল্যকালে একবার এক সহমরণ ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিয়া সেই বয়সেই প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলেন যে, এই কুপ্রথা দূর করিবার নিমিত্ত তিনি আজীবন চেষ্টা করিবেন। এক বিধবা অগ্নিতে প্রবেশ করিয়াছেন, তাহার আর্তনাদ যাহাতে কাহারও কর্ণগোচর না হয় তজ্জন্য প্রকাশ্যভাবে বাদ্য ধ্বনিত হইতেছে, চিতা হইতে গাত্রোথানের উপক্রম করিবামাত্র তাহার স্বজনবর্গ র্তাহাকে বংশখণ্ড দ্বারা চাপিয়া রাখিতেছে । এরূপ লোমহর্ষণ কাণ্ড দেখিয়া রামমোহন রায় যে অত্যন্ত গভীরভাবে বিচলিত হইবেন, তাহাতে আর বিচিত্ৰত কি ! 罩 স্বেচ্ছায় জীবন বিসর্জন দিয়াছেন, এরূপ বিধবা রমণী যে তৎকালে ছিলেন না, তাহা নহে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ পূর্বক সদ্যঃ বিধবাদিগকে দাহ করা হইত। রামমোহন রায় ১৮১৮ সালে সতীদাহ সম্বন্ধে তাহার প্রথম পুস্তকের ইংরাজী অনুবাদ প্রকাশ করেন। সহমরণ সম্বন্ধে তিনি অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তক লিখিয়াছিলেন। সেই সকল পুস্তক তিনি বিনামূল্যে দেশের সর্বত্র বিতরণ করিয়াছিলেন। এ সম্বন্ধে তাহার দ্বিতীয় পুস্তক তিনি মারকুইস অব হেষ্টিংসের সহধৰ্ম্মিণীর নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন । এরূপ