পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ * ত্রিসন্ধি । শুনা যায় যে, কখনও কখনও কলিকাতার গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইয়া রামমোহন সহমরণ নিবারণের চেষ্টা করিতেন, সতীদাহ সম্বন্ধে তাহার পুস্তক প্রকাশিত হইলে গবৰ্ণমেণ্ট হইতে তিনি প্রশংসা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। মহামতি লর্ড বেণ্টিঙ্ক রামমোহন রায়ের সহিত আলোচনা করিয়া এই ভীষণ প্রথা উঠাইয়া দিলেন। লর্ড উইলিয়ম্ বেণ্টিঙ্কের সহৃদয়ত ও রামমোহন রায়ের প্রাণগত পরিশ্রম ইতিহাস চিরদিনই কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করিবে । লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য রামমোহন রায় এক সভা আহবান করিয়া তাহাকে অভিনন্দন পত্র প্রদান করিয়াছিলেন । * পাশ্চাত্য শিক্ষা রামমোহন রায়ের যত্নে কিরূপে এই দেশে প্রচলিত হইল প্রবন্ধারস্তে তাহা উক্ত হইয়াছে। এস্থলে কেবল এইটুকু বলা আবশ্বক যে, রামমোহন ও র্তাহার বন্ধু ডেভিড় হেয়ার ও সার এডওয়ার্ড হাইড ইষ্ট এই তিন জনের যত্নে, প্রথম ইংরাজী বিদ্যালয়, হিন্দু-কলেজ সংস্থাপিত হইয়াছিল। ইংরাজী শিক্ষার প্রচলন উদ্দেশ্যে রামমোহন রায় অর্থব্যয় করিতেও কুষ্ঠিত হয়েন নাই। ডফ সাহেব যখন বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন, তখন রামমোহন রায় ভঁাহাকে মাসিক অর্থ সাহায্য করিতেন। এতদ্ব্যতীত তাহার নিজের একটি ইংরাজী বিদ্যালয় ছিল । বাঙ্গালা সাহিত্য যে র্তাহার নিকট কতদূর ঋণী তাহা আমরা পূর্বে বলিয়া আসিয়াছি। রামমোহন রায় “সংবাদ-কৌমুদী” নামক একখানি পত্রিক প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতে ধৰ্ম্মনীতি,