ত্রিসন্ধি । ՀԳ ছিলেন । প্রাচীনকালের ছাত্ৰগণ গুরুকে দেবতার স্যায় ভক্তি করিতেন এবং কদাচ গুরুর আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতেন না। ঋষি আয়োদধৌম্য র্তাহার শিষ্যগণকে কঠোর কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ শিক্ষা দিবার জন্য তাহদের দ্বারা নানা শ্রমসাধ্য কৰ্ম্ম করাইয়া লইতেন । উপমনুকে তিনি স্বীয় গোচারণে নিযুক্ত করিলেন । উপমনু্য প্রত্যহ প্রত্যুষে শয্যাত্যাগ করিয়া গাভী লইয়া প্রান্তরে যাইতেন এবং সন্ধ্যাকালে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতেন । একদা আচাৰ্য্য র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস উপমমু্য, তোমাকে হৃষ্টপুষ্ট দেখিতেছি, তুমি কি আহার কর ?” উপমনু উত্তর করিলেন, “ভগবন, আমি ভিক্ষাদ্বারা আমার অন্ন সংগ্ৰহ করিয়া থাকি।” গুরু তাহাকে ভিক্ষান্ন গ্রহণ করিতে নিষেধ করিলেন । উপমনু গুরুর আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া অতঃপর ভিক্ষালব্ধ অন্ন গুরুর চরণেই উপস্থিত করিতেন, গুরু র্তাহার উপজীবিকার নিমিত্ত র্তাহাকে কিছু দিতেন না। এইরূপে কিয়ৎকাল অতিবাহিত হইলে, গুরু একদা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, তুমি এখন কিরূপে জীবিকা নির্ববাহ কর ?” উপমমু্য তদুত্তরে কহিলেন যে, তিনি প্রথম বার ভিক্ষা করিয়া যাহা সংগ্রহ করেন, তৎসমুদয় গুরুকে নিবেদন করিয়া দ্বিতীয় বার ভিক্ষা করিতে বাহির হয়েন । গুরু তাহাকে দ্বিতীয়বার ভিক্ষা করিতে নিষেধ করিলেন । উপমনু গুরুর আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া লইলেন । পুনরায়
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।