३by ত্রিসন্ধি । কিয়ৎকাল অতিবাহিত হইলে গুরু তাহাকে প্রশ্ন করিলেন, “বৎস, তুমি যখন ভিক্ষাবৃত্তির দ্বারা জীবন ধারণ কর না, তখন তো তোমার কৃশ হইবার কথা, তোমার শরীর কৃশ দেখিতেছি না কেন ?” এই প্রশ্নের উত্তরে উপমনু্য কহিলেন যে, তিনি গাভীদুগ্ধ দোহন করিয়া পান করেন। গুরু এ কথা শ্রবণ করিয় তাহাকে অনুযোগ করিলেন এবং কহিলেন যে, র্তাহার অজ্ঞাতসারে তাহার গাভীদুগ্ধ পান করিয়া উপমনু চৌর্য্য অপরাধে অপরাধী হইয়াছেন, এই কৰ্ম্ম তাহার অনুচিত হইয়াছে। ■ পুনরায় কতিপয় দিবস গত হইলে, গুরু দেখিলেন যে উপমমু্যর শরীর উপবাসক্লিষ্টের স্যায় ক্ষীণ বোধ হইতেছে না। জিজ্ঞাসা করিয়া তিনি জানিলেন যে, দুগ্ধপান কালে গোবৎসগণের মুখের উভয় পাশ্ব হইতে যে ফেন নির্গত হয়, তাহাই পান করিয়া উপমমু জীবন ধারণ করিয়াছেন । গুরু এরূপ করিতে র্তাহাকে নিষেধ করিলেন এবং উপমমু্য গুরুর নিষেধবাক্য মান্ত করিলেন । এইরূপে গুরুর আজ্ঞার বশবৰ্ত্তী হইয়া সকল প্রকার আহাৰ্য্য হইতে বঞ্চিত হইয়া উপমমু একদা বনে ভ্রমণ করিতে করিতে বিষম ক্ষুধাৰ্ত্ত হইলেন। ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হইয়া তিনি সম্মুখে এক আকন্দ বৃক্ষ নিরীক্ষণ করিয়া তাহারই পত্র ভক্ষণ করিলেন। আকন্দ পত্র ভক্ষণ করিয়া তিনি অন্ধ হইয় গেলেন এবং এক শুষ্ক কূপের মধ্যে পতিত হইলেন । ।
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।