পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శివ 壘。 ত্রিসন্ধি । 蟬 আমিয় তাহকে কণ্টকপুঞ্জের উপরে নিক্ষিপ্ত করিয়া তাহার দেহ হইতে রুধির-ধারা প্রবাহিত করাইল, তথাপি তাহার ব্রত ভঙ্গ হইল না। । হজরত মোহম্মদের প্রধান শিস্য আবুবেকরের চক্ষে একদা বেলালের নির্য্যাতনদৃশ্য পতিত হইল। তিনি দেখিলেন, বেলালের গলদেশ উষ্ট্র-রোমে আবদ্ধ করিয়া আমিয়ার ভূত্যবর্গ তাহাকে পথে টানিয়া লইয়া যাইতেছে। তাহার গলদেশ রুধিরাক্ত, চক্ষুতারকা উদ্ধে উৎক্ষিপ্ত, চীৎকার করিবার সামর্থ্য পৰ্য্যন্ত তাহার নাই। আবুবেকরের দয়ার্দ্র চিত্ত বেলালের দুঃখে বিগলিত হইল। তিনি বহু স্বর্ণমুদ্র দ্বারা বেলালকে তাহার নিষ্ঠর প্রভুর কবল হইতে উদ্ধার করিলেন । চতুর আমিয়া হাস্য করিয়া কহিল, “তুমি মুখ, সেই হেতু এই তুচ্ছ ভূত্যের মূল্য নিরূপণ করিতে অসমর্থ হইয়া আমাকে এত গুলি স্বর্ণমুদ্রা দিয়া ঠকিলে ?” ভক্তশ্রেষ্ঠ আবুবকর বেলালকে বক্ষে আকর্ষণ পূর্বক তাহাকে কহিলেন, “হে আমিয়া! আমার প্রভু ঘঁহাকে সর্বাপেক্ষা মুল্যবান রত্নস্বরূপ জ্ঞান করেন, তাহাকে তুচ্ছ পার্থিব ধনের বিনিময়ে লাভ করিয়া আমি যে আমার প্রভুর অমূল্য প্রসাদের অধিকারী হইলাম! যে জন যথার্থ সত্যনিষ্ঠ ভক্ত, পৃথিবীর সকল মণিমাণিক্যের অপেক্ষ তাহার মূল্য যে আল্লার নিকট অধিক। সেই শ্রেষ্ঠ ধনের মূল্য তুমি বুদ্ধ নাই, আমি বুৰিয়াছি। সুতরাং তুমি ঠকিলে কি আমি ঠকিলাম, তাহার বিচার কে করিবে” ।