*ලෝඩ් ত্রিসন্ধি । যে সৌভাগ্যবান রাজা এই অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইতেন, অপর রাজগণ র্তাহাকেই রাজচক্ৰবৰ্ত্তী বলিয়া মান্য করিতে বাধ্য হইতেন । জয়চাদ তাহার অশ্বমেধ যজ্ঞে উপস্থিত হইবার জন্য দূরদূরের সকল রাজগণকে আহবান করিলেন। সেই যজ্ঞে তাহার একমাত্র কন্যা স্বয়ম্বর হইবেন । পৃথ্বীরাজ জয়চাঁদের আদেশ প্রাপ্ত হইয় অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন। কারণ, দিল্লীর অধীশ্বর কেন কনৌজরাজকে রাজচক্ৰবৰ্ত্তী বলিয়া স্বীকার করিবে ? পৃথ্বীরাজ একদা ছদ্মবেশে কনৌজ সহরে আগমন করেন। তৎকালে জয়চাদের কন্যাকে তিনি দর্শন করিয়া সাতিশয় মুগ্ধ হইয়াছিলেন । সেই কন্যা এই যজ্ঞে আপন বর নির্বর্বাচিত করিবেন ইহা শ্রত হইয় পৃথ্বীরাজ অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ হইলেন। অশ্বমেধ যজ্ঞে এইরূপ নিয়ম ছিল যে, অন্যান্য রাজগণ যজ্ঞকৰ্ত্তাকে তাহাদের প্রধান রূপে স্বীকার করিতেন বলিয়৷ তদীয় প্রাসাদে সেইদিবস ভৃত্যদিগের স্যায় নানা হীন কৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেন। পৃথ্বীরাজ ব্যতিরেকে অপর সকল রাজা সমাগত ছিলেন বটে, কিন্তু একজনও অনুপস্থিত থাকিলে অশ্বমেধ যজ্ঞ স্বসম্পন্ন হয়না বলিয়া জয়চাঁদ পৃথ্বীরাজের স্ববর্ণপ্রতিমূৰ্ত্তি প্রস্তুত করাইয় তাহাকে যজ্ঞভূমির দ্বারদেশে দ্বারপালরূপে প্রতিষ্ঠিত করিলেন। এইরূপে রাজপুত রাজবৃন্দের মধ্যে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, তাহাকে জয়চাদ প্রকাশ্য যজ্ঞসভায় অপমানিত, করিলেন । পৃথ্বীরাজের নিকট এই সংবাদ পেছিবামাত্র তাহার
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।