ত্রিসন্ধি । \లిఁ প্রতিহিংসাগ্নি প্রজ্জ্বলিত হইল। জয়চাদকে ইহার উপযুক্ত প্রতিফল দিবার মানসে - তিনি বহু বীর সর্দার ও সৈন্ত সমভিব্যাহারে অশ্বারোহণ পূর্বক তৎক্ষণাৎ কনৌজে যাত্র করিলেন। দিবা দ্বিপ্রহরে কনৌজে উপস্থিত হইয়া জয়চাঁদের সৈন্যদলকে পরাভূত করিয়া যজ্ঞশালা হইতে জয়র্চাদের কন্যাকে হরণপূর্বক তিনি স্বীয় রাজধানী দিল্লীতে প্রস্থান করিলেন। কনৌজ রাজের সৈন্যদল পশ্চাদ্ধাবিত হইয়৷ পঞ্চদিবস পৰ্য্যন্ত চৌহান সৈন্যের সহিত ভীষণ যুদ্ধে নিযুক্ত হইল। প্রতিদিবস চৌহান বীরগণ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করিতে লাগিল ; পঞ্চমদিবসে চৌহানগণ জয়লাভ করিয়া দিল্লীতে প্রত্যাগত হইতে সমর্থ হইল। দিল্লীতে পৌঁছিয়া পৃথ্বীরাজের সহিত জয়চাদের কন্যার বিবাহ হইল । কিন্তু চৌহান ও কনৌজরাজ যখন পরস্পর বিবাদে নিরত, তখন ঘোর-নৃপতি মহম্মদ ভারতবর্ষ আক্রমণ করিয়াছেন। পৃথ্বীরাজের চিরশত্রু জয়চাঁদ পৃথ্বীরাজকে পরাস্ত করিবার উপযুক্ত অবসর বুঝিয়া মহম্মদ ঘোরির সাহায্য প্রার্থনা করিলেন। পৃথ্বীরাজ যখন শ্রত হইলেন যে, মহম্মদ ঘোরি হিন্দুস্থান আক্রমণ করিবার অভিপ্রায়ে সৈন্যসামন্ত লইয়া উপস্থিত হইয়াছেন, তখন তিনি কালবিলম্ব না করিয়া কর্ণাল হইতে অনতিদূরে তিরেীরীর প্রান্তরে এক যুদ্ধে আফগানদিগকে পরাজিত করিলেন । এই জয়লাভই পৃথ্বীরাজের সর্বনাশের হেতু হইল। কারণ,
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।