পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ko ত্রিসন্ধি । ভয়ঙ্কর পরিণামের বিষয়ও সে অবগত ছিল । উদ্যত অশনিকে কে মস্তক পাতিয়া গ্রহণ করিয়া থাকে ? অনেক চিন্তা করিয়া অবশেষে সে এক কৌশল অবলম্বন করিল । সে অসময়ে মসজিদে গমনপূর্বক আজান দিল। দ্বিপ্রহরে সকল পৌরজন বিশ্রামস্থখে মগ্ন ; অসময়ে আজানের অর্থ বুঝিতে না পারিয়া সকলেই ত্বরিতপদে দৌড়িয়া আসিল । সুলতানও বিষম ক্রুদ্ধ হইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন। তখন দূত বিনাবাক্যব্যয়ে তাহার হস্তে কাজির সেই লিপিখানি সমপণ করিল। কাজি তাহাকে বিচারার্থ আহবান করিয়াছেন । গিয়ামুদ্দিন মস্তক নত করিয়া, পথ-প্রদর্শনপূর্বক বিচারালয়ে তাহাকে লইয়া যাইতে দুতকে আদেশ করিলেন । গিয়াসুদ্দিন স্বীয় বস্ত্রাভ্যন্তরে একখানি ছুরিকা গোপনে রক্ষা করিয়া কাজির বিচারালয়ে গমন করিলেন । কাজি তাহাকে কোনপ্রকার সম্ভাষণ না করিয়া বা উপবেশনের নিমিত্ত আসন প্রদান না করিয়া বিচার আরম্ভ করিয়া দিলেন । পুত্রহীন বিধবার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশপূর্বক তিনি মুলতানকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “অদ্য প্রভাতে আপনি শিকার করিতে গিয়া এই বিধবার পুত্রকে বধ করিয়াছেন। ইহাকে তুষ্ট করিতে পারিলে আপনি আমার বিচার হইতে নিষ্কৃতি লাভ করিবেন।” সুলতান বিধবাকে প্রচুর অর্থের দ্বারা তুষ্ট করিয়া বিদায় করিলেন। তখন কাজি বিচারাসন হইতে উঠিয়া সুলতানকে যথোচিত সস্বৰ্দ্ধনা করিলেন ও উপবেশনের নিমিত্ত আসন দিলেন । গিয়াসুদিন