8е ত্রিসদ্ধি। শক্তিমান, কেহ দুর্বল ; কেহ বিদ্বান, কেহ মুখ। এইরূপ উচ্চ নীচের ব্যবধান মনুষ্যসমাজে আছে বলিয়া উচ্চপদবিশিষ্ট মমুন্যের পক্ষে নিম্নস্তরের মনুষকে মনুষ্য বলিয়া সম্মান করা একপ্রকার অসন্তৰ হইয়া উঠে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, কোন মানী বা বিদ্বান ব্যক্তি সকল মনুস্যকেই সমান শ্রদ্ধা ও সমাদর করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমরা সেই ব্যক্তিকে প্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষের মধ্যেই গণ্য করি। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই শ্রেণীর মনুষ্য ছিলেন। র্তাহার একটি কাহিনী নিম্নে বলিতেছি । পাইকপাড়ার রাজপরিবারের সহিত বিদ্যাসাগরের বন্ধুতা ছিল । একদিন তিনি রাজবাটী গমন করিতেছেন, এমন সময়ে রাজবাটীর নিকটবৰ্ত্তী একখানি মুদি-দোকান হইতে এক বৃদ্ধ বাহিরে আসিয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিল, “ঈশ্বর খুড়ো, কোথা যাইতেছ?” বৃদ্ধের কথা শুনিবামাত্র বিদ্যাসাগর গাড়ী থামাইতে আদেশ করিলেন । গাড়ী হইতে অবতরণ করিয়া বিদ্যাসাগর সেই বৃদ্ধের নিকট গমন করিলেন। বৃদ্ধ কহিল, “আমাকে চিনিতে পার নাই ?” বিদ্যাসাগর কহিলেন, “রামধন খুড়ো ? তোমায় চিনিতে পারিব না কেন ! তুমি ভাল আছ ত ?” বৃদ্ধ কহিল, “ভাল আছি, তুমি ভাল আছ ত!” বিদ্যাসাগর দণ্ডায়মান হইয়া বৃদ্ধের সহিত এইরূপে কথোপকথন করিতেছিলেন, ইতিমধ্যে বৃদ্ধ স্বীয় দোকানের সম্মুখে একখানি অপরিস্কৃত থলিয়া. বিছাইয়া বিদ্যাসাগরকে তদুপরি উপবেশন
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।