জীবনের সুখ। মানবজীবনের সদ্ধৃত্তিসকলের সম্যক পরিচালনে ও সম্পূর্ণ স্মরণেই প্রকৃত মুখ। সচরাচর লোকের মনে এই একটি সংস্কার প্রবল যে, স্বেচ্ছাচারী লোকেরা যেরূপ আহারে, বিহারে সর্বপ্রকারে জীবনের সুখ সম্ভোগ করিয়া থাকে, মিতাচারী ব্যক্তিগণের ভাগ্যে তাহ ঘটে না । মিতাচারী লোকের জীবনে যে কোনও সুখ আছে তাহাও এই শ্রেণীর লোকেরা কল্পনা করিতে পারে না। কিন্তু ইহা একটা ভ্রম। যাহারা পাশব বৃত্তিগুলি সংযত রাখিয়া জীবন যাপন করেন, তাহারা মানসিক ও নৈতিক আদর্শানুসারে উচ্চতর ও অধিকতর পবিত্র সুখ লাভ করিয়া থাকেন । র্যাহাদের দেহ সুস্থ, মন নিৰ্ম্মল, তাহদের সুখের অভাব কি ? তাহদের জীবনধারণোপযোগী বস্তুরই বা অসদ্ভাব কোথায় ? তাহারা প্রকৃতির আদরের সন্তান । র্তাহাদের মনে বিশুদ্ধ স্বৰ্গীয় সুখের উদয় হইবে এজন্য প্রকৃতি দেবী আপনাকে বিবিধ প্রকারে নিৰ্ম্মল সৌন্দর্য্যে সুশোভিতা করিয়া রাখিয়াছেন। সান্ধ্য আকাশের প্রশান্তমূৰ্ত্তি, প্রভাতের স্বস্নিগ্ধ সমীরণ, রবির তেজোময় জ্যোতিঃ, বিহঙ্গের সুললিত, হৃদয়োম্মাদক সঙ্গীত, এ সকলে কি জীবনের স্বখ হয় না ? এ সকলে কি হৃদয় মনের তৃপ্তিসাধন হয় না ? বৃক্ষলতাদির কমনীয় কান্তি দর্শন করিয়া, মনোহর পুষ্পের
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।