পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি । 80 অনুপম সৌন্দর্য্যরাশি উপভোগ করিয়া হৃদয়ের যে সুখ ও আনন্দ লাভ হয়, বহুমূল্য বিলাসের সামগ্ৰী উপভোগ করিয়াও তাহ হইতে পারে না । মানবের চিত্তরঞ্জনের জন্য প্রকৃতির অক্ষয় ভাণ্ডারে অসংখ্য বস্তু সন্মিলিত রহিয়াছে । যাহারা সংসারের নীচ ভাব লইয়া, সামান্ত পদার্থ লইয়াই, সস্তুষ্ট থাকিতে চায়, তাহারা আপনাদের দোষেই জীবনের অতি পবিত্র সুখ হইতে বঞ্চিত হইয়া থাকে ; তাহার ইচ্ছা করিয়াই প্রকৃতির পরম রমণীয় শোভা নিরীক্ষণ না করিয়া অন্ধের স্যায় কালযাপন করে। প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্য, নরনারীর সুঠাম রূপ, সুমধুর গীত বাদ্য, চিত্তহারিণী কবিতা, সাধুর মধুময় সহবাস, শিশুর সুমিষ্ট হাসি, এ সকলই আমাদের সুখ ও আনন্দের জন্য । কিন্তু আবিল সলিলে যেমন চন্দ্রমার জ্যোৎস্নারাশি বিভাসিত হয় না, মলিন, ক্ষুদ্র ও স্বার্থপর হৃদয় লইয়াও তেমনি কেহ কখনও প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিয়া চিত্ত বিনোদন করিতে সমর্থ হয় না । সকলের অন্তরেই চিত্ত-রঞ্জিনী বৃত্তি আছে বটে, কিন্তু হিংসা ও পরনিন্দা, কুচিন্তা ও কদাচার, অহঙ্কার ও দস্ত, স্বার্থপরতা ও সুখাসক্তি পরিত্যাগ করিয়া নিৰ্ম্মলতা ও নিঃস্বার্থতা লাভ করিতে ন পারিলে এই বুত্তির সম্যক ক্ষুৰ্ত্তিলাভ হয় না । সুতরাং প্রকৃতপক্ষে সুখী হইতে হইলে একদিকে যেমন সরল ও নিৰ্ম্মল হওয়া আবশ্যক, অপরদিকে তেমনি আত্মসুখ খর্ব করিয়া অপরের মুখের জন্য কাৰ্য্য করা প্রয়োজন । কেবল