ত্রিসন্ধি । 86: কথিত আছে যে, বিন্দুসারের যখন অন্তিমকাল উপস্থিত হইল, তখন তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র সুসীম তক্ষশিলায় অবস্থিতি করিতেছিলেন। সুতরাং মন্ত্রিগণের পরামর্শে সুসীমের অনুপস্থিতিকাল পর্য্যন্ত অশোককে রাজপদে অভিষিক্ত করিয়া মহারাজ বিন্দুসার পরলোক গমন করিলেন । রাজা হইয়া অশোক তদীয় ভ্রাতা সুসীমকে নিহত করেন এবং বহু রাজবংশীয় আত্মীয়গণকেও প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করেন । যতদিন পর্য্যন্ত তিনি বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন নাই, ততদিন পর্য্যন্ত তিনি “চণ্ডাশোক” নামে খ্যাত ছিলেন। র্তাহার অত্যাচার উৎপীড়ন এবং নিষ্ঠর ব্যবহারের জন্য র্তাহার প্রজাবৰ্গ সর্বদ সন্ত্রস্ত থাকিত। বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণের পর তিনি ‘ধৰ্ম্মাশোক” হইয়া সকলের শ্রদ্ধা ও প্রীতি আকৃষ্ট করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মের দ্বারা মনুষ্যের যে কি আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন সাধিত হয়, বোধহয় ইহা প্রদর্শন করিবার নিমিত্তই অশোকের পূর্ব জীবন সম্বন্ধে নান নিষ্ঠর কাহিনী স্বস্ট হইয়া থাকিবে। এ সকল কাহিনীর যে কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নাই তাহ বেশ বুঝিতে পারা যায়। খৃষ্টাব্দের ২৬৭ বৎসর পূর্বে মহারাজ অশোক বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । নবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া অশোক তীর্থভ্রমণে বহির্গত হইলেন। মহাপুরুষ বুদ্ধদেব যে স্থানে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই পবিত্র লুম্বিনীর উষ্ঠান ; যে স্থানে তিনি বাল্যকাল ও প্রথম যৌবন যাপন করিয়াছিলেন, সেই রাজধানী কপিলবস্তু নগর ; সংসার পরিত্যাগের সময় যে স্থানে তিনি
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।