পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি । 83 হয়, উহা আকবর-গুরু সেলিম চিস্তি নামক এক সাধুর সমাধি-মন্দির। সিংহাসনে অধিরূঢ় হইবার পর চতুর্দশ বৎসর পর্য্যন্ত সম্রাট আকবরের পুত্রসন্তান হয় নাই। কে উত্তরাধিকারী হইবে, এই দুশ্চিন্তায় আকবর পুত্ৰ কামনায় নানা তীর্থে পর্য্যটন করিয়াছিলেন । অবশেষে সিক্রি গ্রামে এক গুহাবাসী পীরের সন্ধান লাভ করিয়া তিনি র্তাহার নিকট গমন করিলেন । আকবর পুত্ৰলাভ করিবেন, পীর তাহাকে এইরূপ আশ্বাস প্রদান করিলেন । আকবরের রাজপুত-মহিষী যথাকালে একটি পুত্রসন্তানকে জন্মদান করিলেন, আকবর সাধুর নামে তাহার নামকরণ করিলেন। ইতিহাসে যিনি সম্রাটু জাহাঙ্গীর নামে খ্যাত, সেলিম তাহার অন্য এক নাম ছিল । সম্রাটের কামনা সিদ্ধ হইল বলিয়া ঐ স্থানে তিনি এক সহর নিৰ্ম্মাণ করাইতে আরম্ভ করিলেন এবং তাহার নাম রাখিলেন ফতেপুর অর্থাৎ জয়লাভের নগর । সেলিম চিস্তির সমাধি-মন্দির শুভ্ৰমৰ্ম্মর-নিৰ্ম্মিত । তাহার চতুর্দিকেও মৰ্ম্মর-গবাক্ষ, এবং প্রত্যেকটি গবাক্ষ হস্তীদন্তশোভিত । ভিতরে শুক্তিক-খচিত সমাধি এবং তাহাতে বিচিত্র বর্ণের কৃত্রিম পুষ্পলত সূক্ষম প্রস্তর সংযোগে প্রস্তুত করা হইয়াছে । সমাধি-স্থান দর্শন করিলে মনে হয়, আকবর যেন একটি ভক্তি-মণ্ডিত শুভ্ৰ সুকুমার পুষ্প গুরুর নিকট নিবেদন করিয়া দিয়াছেন । তাহার পরেই দক্ষিণে মসজিদ । সেলিম চিস্তির জীবিতাবস্থায় ইহা রচিত হইয়াছিল। মসজিদ পাের 8