@ e ত্রিসন্ধি । হইয়া উপরের দিকে এক সোপান-শ্রেণী গিয়াছে—উপরে মিনার ও গুম্বজগুলি আকাশ স্পর্শ করিয়া দণ্ডায়মান। সেই সোপান-শ্রেণী বাহিয়া প্রাসাদ-শিখরে আরোহণ করিলে বহু দূর পর্য্যন্ত রৌদ্র-দগ্ধ বালুকাময় মরুভূমি দৃষ্ট হয়, ভরতপুর দুর্গের শ্বেতরেখাও নয়ন-পথে অস্পষ্টরূপে পতিত হয় ! চতুর্দিকে বিচিত্র সৌধের পরে সৌধ, অথচ সকলই জনশূন্ত এবং পরিত্যক্ত ! সম্রাট আকবরের সভায় ফৈজি ও আবুল ফজল নামক দুই পণ্ডিত ভ্রাতা ছিলেন। আকবর ইহাদিগেরই নিকট পারস্য কবিদিগের পরিচয় লাভ করিয়া মুগ্ধ হইয়াছিলেন। ফৈজি সুকবি ছিলেন। আবুল ফজল সংস্কৃত শাস্ত্রাদি যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। ফতেপুর সিক্রিতে এই ভ্রাতৃদ্বয়ের ভবনও দৃষ্ট হয়। তৎপরে আকবরের হিন্দু বেগমের মহাল। আকবরের হিন্দু-মহিষী হিন্দু প্রথানুযায়ী আচার ব্যবহার রক্ষা করিয়া চলিতেন এবং আকবর কদাপি তাহার বিরুদ্ধাচরণ করেন নাই । র্তাহার মহালটিতে প্রবেশ করিলেই হিন্দুভাবের পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । এই হিন্দু মহালের পরেই “মিরিয়াম বিবির কুঠি” অর্থাৎ আকবরের আরমাণি বেগম মিরিয়ামের আলয়। এই বেগম খৃষ্টানী ছিলেন, ইহার গৃহের প্রাচীরে খৃষ্টান দেশীয় চিত্র অঙ্কিত আছে। তৎকালে ইউরোপ হইতে কতিপয় পাত্রী ভারতবর্ষে উপস্থিত হইয়াছিলেন
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।