পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রিসন্ধি । & X এবং তাহারা খৃষ্টান ধৰ্ম্মগ্রন্থ বাইবেল সম্রাট আকবরের নিকট উপস্থিত করিয়াছিলেন। বাইবেল শ্রবণ করিয়া আকবর যুবরাজ মুরাদকে ঐ ভাষা অধ্যয়ন করিতে এবং আবুল ফজলকে ঐ গ্রন্থ অনুবাদ করিতে অনুরোধ করেন। সম্ভবতঃ ঐ পাদ্রিদিগের দ্বারাই মিরিয়ামগুহে খৃষ্টদেশীয় চিত্র উপস্থাপিত হইয়া থাকিবে। এই মিরিয়াম-গৃহের সম্মুখেই মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত প্রশস্ত প্রাঙ্গণ ও তাহার মধ্যে জলাশয় । জলাশয়ের অপর পারে পাচ মহাল ভবন ; তাহার আকার অনেকটা বৌদ্ধ বিহারের স্যায়। অতঃপর দেওয়ান-ই-খাস্ অর্থাৎ সম্রাটের গোপন মন্ত্রণা-গৃহ—ফতেপুর সিক্রিতে প্রধান দ্রষ্টব্য সৌধ। ইহা একটি চতুষ্কোণবিশিষ্ট ভবন, মধ্যে সুন্দর একটি স্তস্ত এবং তাহার শীর্ষে স্তরে স্তরে প্রস্তর-পত্র সকল যেন এক বৃহৎ পদ্মের দলরাজির স্থায় শোভা পাইতেছে। সেই স্তস্তু-নিম্নে আকবরের সিংহাসন ছিল এবং তথায় প্রতি বৃহস্পতিবার রজনীতে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বী পণ্ডিতগণ র্তাহাদিগের পরস্পরের ধৰ্ম্মমত লইয়া আলোচনা ও তর্কবিতর্ক করিতেন এবং সম্রাট নিবিষ্ট মনে তাহা শ্রবণ করিতেন। খৃষ্টান পাদ্রিগণ, মুল্লাগণ, হিন্দুশাস্ত্র-বিশারদ পণ্ডিতগণ সকলেই আকবরের সভায় সমাগত ও সমাদৃত হইতেন। " ফতেপুর সিক্রির এই মহতী কীৰ্ত্তি আকবরের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই পরিত্যক্ত হইল । বহু ব্যয়ে ও বহু যত্নে যে নগর আকবর স্বষ্টি করিলেন, তাহ তাহারই স্মৃতির মুক সাক্ষী মাত্র হইয়া রহিল। "