ত্রিসন্ধি। (N ক্রটি করেন নাই। ইংরাজ সরকার বাহাদুর তাহার পর হইতে এই সকল সৌধ যথাসম্ভব রক্ষা করিয়া ও আবশ্বক মত সংস্কার সাধন করিয়া, সকলের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। তবে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় দিল্লী ও আগ্রার অনেক শোভা বিলুপ্ত হইয়াছে। ম্যান্ডেলসো (Mandelso) নামক একজন পাশ্চাত্য পৰ্য্যটনকারী মোগল-সম্রাটদিগের শাসনকালে আগ্রা দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছিলেন। তিনি লিখিয়াছেন যে, আগ্রায় অগণ্য সৌধ বিদ্যমান ছিল, এবং তিনি তথায় প্রায় সত্তরটি প্রকাণ্ড মসজিদ দৰ্শন করিয়াছিলেন । মোগল সমৃদ্ধির তিনি যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা পাঠ করিলে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতে হয়। আগ্রার প্রাসাদ-দুর্গে সাহজাহানের শয়নগৃহ ও বন্দীশালা সর্বাপেক্ষ চিত্তাকর্ষক। পূর্বে বলিয়াছি যে, প্রাসাদ-প্রাঙ্গণে একদিকে বেগম মহাল, অন্যদিকে দেওয়ান-ই-খাস ও এক কোণে দেওয়ান-ই-আম, এবং মধ্যে জলক্রীড়ার স্থান রহিয়াছে। উপরের তলায় সাহজাহানের গৃহ । উপরে গেলে আরও কতকগুলি আশ্চৰ্য্য দৃশ্য পথিকের নয়ন-সম্মুখে উদঘাটিত হয়। একটি পশু-যুদ্ধের স্থান। হস্তী প্রভূতি পশুদিগের দ্বন্দ্বযুদ্ধ দেখিতে মোগল-বাদশাহগণ ভালবাসিতেন। এতদ্ব্যতীত আকবরের নওরোজ বাজারেরও ভগ্নাংশ দৃষ্টিগোচর হয়। তাহা একপ্রকার সখের বাজার ছিল—ইতিহাসে সে সম্বন্ধে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। সোপানশ্রেণী অতিক্রম করিয়৷ সাহজাহানের গৃহে গমন
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।