পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:8 ত্রিসন্ধি । করিলে প্রাসাদপাদমূলে প্রবাহিত যমুনা ও অদূরে তাজমহলের ধবলমুৰ্ত্তি দৃষ্ট্রিপথে পতিত হয়। * এইস্থানে একটি কথা বলা আবশ্যক। মোগল বাদশাহগণ আপনাদিগের নিমিত্ত বা স্বীয় মহিষীদিগের নিমিত্ত জীবিতাবস্থায় সমাধিগৃহ বহুব্যয়ে নিৰ্ম্মাণ করাইতেন। একটি উদ্যানকে প্রাচীরবেষ্টিত করিয়া তন্মধ্যভাগে চতুষ্কোণ একটি সৌধ নিৰ্ম্মিত হইত এবং তাহার উপরে একটি শ্বেত গুম্বজ সূৰ্য্যকিরণোঙ্গল মেঘখণ্ডের দ্যায় শোভা পাইত । উদ্যান-পথের উভয়পাশ্বে পয়ঃপ্রণালী নিৰ্ম্মিত হইত এবং তাহার প্রান্তভাগে সমচতুষ্কোণ উদ্যান শোভা বৰ্দ্ধন করিত। সমাধি-সৌধের উভয়দিকেই এই একইপ্রকার পথ, পয়ঃপ্রণালী ও উদ্যান । সাহজাহান স্বীয় প্রিয় মহিষী মমতাজের জন্য বহুব্যয়ে জগদ্বিখ্যাত তাজমহাল নামক সমাধি-সৌধ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ইহার ন্যায় সুন্দর হৰ্ম্মা পৃথিবীতে অল্পই আছে। ইহার চিত্র সকলেই অবলোকন করিয়াছে, তথাপি ইহা স্বচক্ষে দর্শন না করিলে ইহার মাহাত্ম্য বোধগম্য হয় না । বহুদেশ হইতে আগত শিল্পীসকল নানা মূল্যবান প্রস্তরদ্ধারা এই সৌধটি গঠিত করিয়াছে। প্রসিদ্ধ ভ্ৰমণকারী টাভারনিয়ে ইহার নিৰ্ম্মাণকালে আগ্রায় ছিলেন । তিনি প্রত্যহ বিংশতিসহস্ৰ শিল্পীকে ইহার নিৰ্ম্মাণ-কার্য্যে নিযুক্ত থাকিতে দেখিয়াছেন। ইহার অভ্যন্তরে একটি স্বরম্য উদ্যান বিদ্যমান আছে। তাজের সোঁধ অপেক্ষাকৃত উচ্চ ভূমির উপরে দণ্ডায়মান—সোপানশ্রেণী