* ক্রিসন্ধি। اليا) ছিল না। ইংরাজদিগের আগমনের পর হইতে এই লোকহিতকর কাৰ্য্য ক্রমে প্রসার লাভ করিয়া এক্ষণে এরূপ আকার লাভ করিয়াছে যে, তাহার বিশেষ বিবরণ শ্রবণ করিলে বিস্মিত হইতে হয়। দরিদ্র প্রজাদিগের সুচিকিৎসার এ প্রকার সুন্দর ব্যবস্থা ভারতে কোনকালে ছিল না । - μ ভারত-সাম্রাজ্যের জনবহুল স্থানে ও প্রত্যেক জেলাতেই এক্ষণে এক একটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত আছে। জেলার । চিকিৎসালয়ের ভার সিবিল সার্জনের উপর ন্যস্ত থাকে, এবং মফঃস্বলের চিকিৎসালয়ে মেডিক্যাল কলেজ বা স্কুলে উত্তীর্ণ সুযোগ্য ভারতবাসিগণ চিকিৎসা-কাৰ্য্য পরিচালন করেন । সমগ্র ভারত-সাম্রাজ্যে এই প্রকার দাতব্য চিকিৎসালয়ের সংখ্যা সহস্ৰাধিক হইয়াছে'। প্রতি বৎসরেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে। বলা বাহুল্য, এই সকল চিকিৎসালয়ের অধিকাংশেরই ব্যয়ভার সরকার বহন করেন, এবং যাহাতে আধুনিক উন্নত চিকিৎসা-পদ্ধতি অনুসারে সর্বত্র কার্য্য চলে তৎপ্রতি রাজপ্রতিনিধিবর্গ ও শাসনকর্তৃগণের বিশেষ দৃষ্টি থাকে। রাজপ্রতিনিধি ও শাসনকর্তৃগণ পরিদর্শনে বহির্গত হইলেই নিরাশ্রয় ও দরিদ্র রোগিগণ চিকিৎসালয়ে কি প্রকারে আছে এবং তাহারা উপযুক্তরূপে পরিচর্য্যাদি লাভ করিতেছে কিনা, সর্ববাগ্রে তাহ অনুসন্ধান করেন। গো-বীজের টীকা দিবার পদ্ধতি প্রচলিত হইবার পূর্বে ভারতের গ্রাম-নগরগুলি বসন্ত রোগের প্রকেপে কি প্রকারে উৎসন্ন হইয়া যাইত, তাহার
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।