ত্রিসন্ধি । やQ তাহার বিচারকদের মধ্যে অধিকাংশই তাহাকে দোষী স্থির করিল। কিন্তু তাহারা সক্রেটিসের প্রতি এই অনুগ্রহ প্রকাশ করিল ষে, সক্রেটিসের প্রতি যে দগুবিধান হইবে তিনি ইচ্ছা করিলে তৎপরিবর্তে অন্য কোন উপযুক্ত দণ্ড গ্রহণ করিতে পারিবেন। সক্রেটিস্ এই দণ্ডাজ্ঞা শুনিয়া বিচারকগণকে কহিলেন, “আমি আপনাকে একবারও অপরাধী জ্ঞান করি না । বরং আমি যাহা করিয়াছি, তজ্জন্য আমাকে পুরস্কার দেওয়াই তোমাদের উচিত । তবে নিয়মরক্ষার্থ আমার শিষ্য প্লেটাে আমার জন্য কিছু অথ দিতে প্রস্তুত আছেন ।’ এই কথা শুনিয়া বিচারকগণ ক্রোধে জুলিতে লাগিল ; তাহার তৎক্ষণাৎ তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ করিল। প্রাণদণ্ডের আদেশের পর সক্রেটিস্ ত্রিশদিন কারারুদ্ধ ছিলেন । এই সময়ে তিনি শিষ্যগণের সহিত নানা বিষয়ে কথোপকথন করিতেন এবং তাহাদিগকে উপদেশ প্রদান করিতেন ; কিন্তু এ অবস্থায় কেহ কখনও তাহার চিত্ত-চাঞ্চল্য দেখিতে পায় নাই । তাহার জনৈক শিষ্য র্তাহাকে পলায়ন করিবার পরামর্শ দিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি রাজাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া । চোরের ন্যায় পলায়ন করিতে অস্বীকৃত হইলেন । து. তাহার মৃত্যুদিন নিকটবৰ্ত্তী হইল। মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে আত্মার অমরত্ব সম্বন্ধে তিনি শিষ্যগণকে উপদেশ দিলেন । ইহাই তাহার শেষ উপদেশ। শিষ্যগণ র্তাহার মুখে এই শেষ । কথা শুনিলেন। মহাপুরুষের হস্তে বিষের পাত্র প্রদত্ত হইল , (፫
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।