ত্রিসন্ধি අ\L নিগ্রো জাতি, মধ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পলিনেসিয়ার সামান্ত অংশ অধিকার করিয়া আছে। ইহাদিগের মস্তক ক্ষুদ্র, ওষ্ঠ স্থূল—দেখিলেই চিনিতে বিলম্ব হয় না। অবশ্য এস্থানে একটি কথা বলা আবশ্যক যে, মূলশ্রেণীক্ৰয়ের অন্তভুক্ত জাতিসকল নানা কারণে বৈচিত্র্য লাভ করিয়াছে। শাখা প্রশাখা অসংখ্য হইলেও বৃক্ষমূল যেরূপ এক, সেইরূপ এই তিন মূলশ্রেণী সমানই রহিয়াছে। যে কোন জাতির যতই বৈচিত্র্য থাকুক না—তাহ কোন মূলশ্রেণীর অন্তর্গত তাহ সুস্পষ্টরূপে নির্দেশ করা কঠিন নহে । 動 জীবজন্তুদিগের মধ্যে দেখা যায় যে, তাহারা যে বিশেষ জলবায়ুর মধ্যে সংস্থিত হইয়াছে ও পুরুষানুক্রমে যেস্থানে বাস করিয়াছে, তথা হইতে তাহাদিগকে অন্যদেশে ভিন্ন প্রকারের জলবায়ুর মধ্যে লইয়া গেলে তাহাদিগের পক্ষে প্রাণধারণ করাই অসম্ভব হয়। কিন্তু মনুষ্যের সম্বন্ধে সেরূপ কোন নিয়ম নাই । উত্তরমেরুবাসী শ্বেত ভল্লুক বা সীলকে যদি উষ্ণপ্রধান দেশে কোন উপায়ে জীবিতাবস্থায় আনয়ন করা যায়, তবে বহু আয়াস স্বীকার সত্ত্বেও তাহাকে দুই চারি দিবসও সঞ্জীবিত রাখা যায় কিনা সন্দেহ । জীবজন্তুদিগের শরীর, খাদ্য, অভ্যাস সমস্তই যে দেশে বাস করে, তদেশীয় ভূপ্রকৃতি অনুসারে গঠিত এবং স্থিরীকৃত হইয়া থাকে। অথচ মমুন্য উত্তরমেরুই বল, আফ্রিকার উত্তপ্ত সাহারা মরুই বল, যে কোন দেশে, যে কোন জলবায়ুর মধ্যে বাস করিতে পারে। স্বদেশ ত্যাগ করিয়া অন্যত্র
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।