ত্রিসন্ধি । Գ:Տ পাদদেশে অনেকগুলি ধারা আসিয়া যখন মিলিত হয়, তখনই তাহা নদীর আকার প্রাপ্ত হয় । তোমরা অবশ্য লক্ষ্য- করিয়াছ, নর্দমা বা নাল দিয়া যখন বৃষ্টির জল প্রবাহিত হইয়া যায়, তখন তাহা কিরূপ মলিন ও কর্দমাক্ত থাকে । কেবল তাঁহাই নহে, যদি তোমাদের গ্রামের নিকট কোন নদী থাকে, তাহা হইলে তোমরা অবশ্যই লক্ষ্য করিয়া থাকিবে, বৃষ্টির পর তাহার জল কিরূপ মলিন হয়। ইহার কারণ আর কিছুই নহে—বৃষ্টির জল প্রবাহিত হইয়। যাইবার কালে ভূপৃষ্ঠের বালুক, মৃত্তিকা ইত্যাদি ধৌত করিয়া লয় এবং সেই জন্যই তাহ এরূপ মলিন হয় । এ সকল মলিন জল নদীতে পতিত হইয় তাহার জলকেও কর্দমাক্ত করে। বৃষ্টির পূর্বে অনেক বস্তু মৃত্তিকার নিম্নে প্রচ্ছন্ন থাকে, কিন্তু বৃষ্ট্রির পরে তাহারা মৃত্তিকার উপরিভাগে দৃষ্ট হয়। বৃষ্টির জলে উপরের মৃত্তিক ধৌত হইয়া যাওয়াতেই মৃত্তিকার নিম্নস্থিত বস্তুসকল এরূপ অনাবৃত হয় । বৃষ্টির জল সম্বন্ধে আরও কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করা আবশুক । প্রথমতঃ, জলের স্রোত যে স্থান দিয়া প্রবাহিত হইয় যায়, তাহ পাশ্ববৰ্ত্তী স্থান অপেক্ষ নিম্নতর হয়। দ্বিতীয়তঃ, বৃষ্টির জল যদি কোন নিম্ন স্থানে সঞ্চিত হয়, তাহ হইলে পরদিবস তাহাকে আর সেরূপ কর্দমাক্ত বোধ হয় না—তাহা অপেক্ষাকৃত পরিষ্কৃত হইয়া যায় । তৃতীয়তঃ, যে সমস্ত ডোব বা গৰ্ত্তে বৃষ্টির জল সঞ্চিত হয়, তাহা ক্রমশঃ পূর্ণ হইয়া আইসে।
পাতা:ত্রিসন্ধি-অজিত কুমার চক্রবর্ত্তী.djvu/৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।