পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বিবাহের কথা মনে করিয়া আমার প্রাণ এখন বড়ই হু-হু করিতেছে। একটি পরামরূপবতী ভূতিনীর সঙ্গে আমার বিবাহের কথা হইয়াছিল। তাহার রূপের কথা আর বলিব কি? তাহার নাকটি দেখিয়াই আমার মন একেবারে মুগ্ধ হইয়াছিল। ও হাে নাকেশ্বরি! তোমাকে না দেখিয়া প্ৰাণ যে আর ধরিতে পারি না। একবার তোমার ছবিখানি দেখিয়া প্ৰাণ শান্ত করি। আমিও দেখি, তোমরাও দেখ, দেখিয়া চক্ষু জুড়াও ” सर्छ उधश्वाश ভূতের তেল নাকেশ্বরীর ছবি দেখিয় ঘ্যায্যের প্রাণ কিঞ্চিৎ শান্ত হইল, সে একে একে সকলের করমর্দন করিয়া প্ৰস্থান করিল। তখন আমীর-ব্ৰাহ্মণ ও তাঁতিকে বলিলেন,-“আপনাদিগকে আমি অনেক কষ্ট দিয়াছি। ঘর-সংসার ছাড়িয়া আপনারা আমার সঙ্গে ঘুরিতেছেন। আর আপনাদিগকে আমি ক্লেশ দিতে ইচ্ছা করি না। আপনারা বাটী ফিরিয়া যান, আমার কপালে যাহা আছে, তাহা হইবে। কিন্তু ব্ৰাহ্মণ ও তাঁতি আমীরকে একলা ফেলিয়া যাইতে চাহিলেন না। আমীরের অনেক অনুনয়-বিনয়ে ত হইয়া তাঁহার নিকট বিদায় লইয়া, বসিয়া আমীর অনেকক্ষণ কাদিতে টুপী তারপর মনকে প্ৰবোধ দিয়া ভাবিলেন,— “কাঁদিলে কি হইবে? এখন ভূত শু পায় চিন্তা করি, তবে ত’ স্ত্রীর উদ্ধার হইবে।” অনেকক্ষণ চিন্তা করিয়া আমীর মাথা হইতে পাগড়ী খুলিলেন। পাগড়ীটি উত্তমরূপে পাকাইলেন, আর তাহার একপাশে একটি ফাঁস করিলেন। এইরূপে সুসজ্জা হইয়া, যে আমগাছে গোগো নামক গলায়-দাড়ি ভূত থাকে, সেইদিকে চলিলেন। গাছের নিকট উপস্থিত হইয়া গাছের উপর উঠিতে লাগিলেন। অনেকদূর উঠিয়া গাছের ডালে পাগড়ৱী অপর পার্শ্ব বাধিয়া ফাসটি গলায় দিতে উদ্যত হইলেন। ফাসটি গলায় দেন। আর কি, এমন সময় চাহিয়া দেখেন যে, সেই গলায় দড়ি ভূত সহাস্যবদনে তাঁহার সম্মুখে আর একটি ডালে বসিয়া রহিয়াছে। ভূত বলিল,—“নে নে, শীঘ শীঘ গলায় ফাস্ পরিয়া বুলিয়া পড়, নীচে হইতে আমিও সেই সময় তোর পা ধরিয়া টানিব এখন, তা হইলে সত্বর তোর মৃত্যু হইবে, তাহা হইলে আমার বেকার নাতিজামাই তোর ভূতগিরি করিতে পাইবে।” আমীর কোনও কথা না কহিয়া আস্তে আস্তে জেব হইতে আফিমের কোঁটাটি বাহির করিলেন। কীেটাটির ঢাকনা ভূতের সম্মুখে ধরিলেন। ভূত তাহাতে উকি-কুঁকি মারিয়া জিজ্ঞাসা করিল,-“ওর ভিতর ও —কে?” আমীর বলিলেন,-“একটি ভুত।” গোগো বলিল,-“ভূত! কৈ, ভাল করিয়া দেখি।” খুব ভাল করিয়া দেখিয়া গোর্গোর নিশ্চয় বিশ্বাস হইল যে, ভূত বটে। সে জিজ্ঞাসা করিল,—“উহার ভিতর তুই ভূত ধরিয়া রাখিয়াছিস কেন?” আমীর বলিলেন,-“আমি একখানি খবরের কাগজ খুলিবার বাসনা করিয়াছি; সম্পাদক ও সহকারী-সম্পাদকের প্রয়োজন। ডিবের ভিতর যে ভুতাটি দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comৰ্ম্মিািক্যনাৰ্থ রচনাসভাই مافيا