পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“জান না। ভায়া! সম্পাদক হইতে আমি এইরূপেই প্ৰবন্ধ বাহির করিয়া থাকি। কেমন! উত্তম উত্তম গালি, ভাল ভাল প্ৰবন্ধ, এখন মনে উদয় হইতেছে ত"? গোগো ভায়া! সেকালের হরিণের গল্পটাও কি ছাই শুনা নাই? যাহাতে কথা আছে, -"ওহে ভাই শশধর! আগে এ দায়ে ত’ তর, তারপর কাজ কম কর আর না কর।” ঘানি হইতে ক্রমে টপূটপূ করিয়া তেল পড়িতে লাগিল। প্রায় একশিশি তেল প্রস্তুত হইল। যখন ভূতের দেহ একবারে তেলশূন্য শুষ্ক হইয়া গেল, তখন বলদ থামিল, ঘানিগাছ আর ঘুরিল না। আমীর সেই ছােবড়ারূপ ভুতকে বাহির করিয়া ছাড়িয়া দিলেন। বলা বাহুল্য যে, ভূত না হইয়া যদি মানুষ হইত, তাহা হইলে কোনকালে মরিয়া যাইত। সপ্তম অধ্যায় উদেশ তেলের শিশিটি পকেটে লইয়া আমীর পুনৰ্ব্বার চলিলেন। যাইতে যাইতে কত পথ চলিয়া অবশেষে হিমালয়ের তলভাগে গিয়া উপস্থিত হইলেন। য়র উপর উঠিয়া কত চড়াই নির্দেশ করিয়া দিয়াছিল, সেই স্থানটিতে গিয়া রুন্সিলেন। জানিলেন, এই স্থানটিতে ডুব মারিতে দইক্টোর্ন বসিয়া, শিশিটি বাহির করিয়া উত্তমরূপে সৰ্ব্বশরীরে ভূতের তেল মর্দন করিলেন্নিবের্তে মাখিয়া তাহার শরীরে যে কেবল আসুরিক বল হইল তাহা নহে, দেহ এত লঘু হইলষ্ট যেন তিনি পাখীর মত উড়িতে পারেন। তেল মাখা হইলে উঠিয়া দাঁড়াইলেন, আর “বিসমিল্লা” বলিয়া জলে ঝাঁপ দিলেন। জলে ডুব মারিয়া ক্রমেই নীচে যাইতে লাগিলেন। পাতাল পৰ্যন্ত ততদূর যাইতে হয় নাই, কিন্তু অনেক, অনেকদূর গিয়া পাহাড়ের গায়ে একটি ছিদ্ৰ দেখিতে পাইলেন। সেই ছিদ্রের ভিতর প্রবেশ করিতেই একেবারে শুষ্ক ভূমিতে পদার্পণ করিলেন। সেখানে আলোর অভাব ছিল না। উত্তম দিনের আলো ছিল। কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া বাসস্থানের মত পাহাড়ের গায়ে অনেকগুলি গৰ্ত্ত দেখিতে পাইলেন, কিন্তু কি মনুষ্য, কি ভূত কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। মনে মনে ভাবিলেন,-“এখনও দিন রহিয়াছে, এত প্ৰকাশ্যভাবে এখানে বিচরণ করা ভাল নয়। রাত্রি হইলে সকল সন্ধান লাইব।” এই মনে করিয়া একটি ছোট গৰ্ত্তে লুকাইয়া রহিলেন। জলে ডুব দিয়া যে শুষ্ক ঘরের ভিতর প্রবেশ করা যায়, একথা শুনিয়া কেহ যেন অবাক হইবেন না। লোকে পাছে ভাবেন যে, আমি যাহা লিখিতেছি, তাহা অলীক গল্পকথা, সেজন্য আমাকে ঐতিহাসিক প্রমাণ দিতে হইল। আকবরের সময় একজন মিস্ত্রি লাহােরে এরূপ একটি ঘর নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল যে, নিকটস্থ একটি জলাশয়ের জলে ডুব না দিয়া সে ঘরে যাইবার আর অন্য পথ ছিল না । আগ্রাতে জাহাঙ্গীর বাদশাহও এইরূপ একটি ঘর দেখিয়াছিলেন। ওয়াকিয়াত-ই জাহাঙ্গীরি নামক পুস্তকে জাহাঙ্গীর লিখিয়াছেন, —“আমার পিতার সময় লাহাের নগরে যেরূপ একটি জল-গৃহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, সেইরূপ একটি জলশূহ দেখিতে রবিবারদিন შd(ZöffdზJFiff2; ჯJბიIIპH \Vebr fing onż3. g3 ze! A www.amarboi.comí“%"*"***"****