পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“তোমার জরু। তুমি ফিরিয়া লও, আমন জরুতে আমার কাজ নাই। বাবা! ও তো জরু নয়! সুখে-স্বচ্ছন্দে ভূতগিরি করিতেছিলাম, এ কি বাপু! ভূতের আবার চণ্ডু খাওয়া কি? ঐ তো আমাকে মজাইল। এখন তোমার কাছে যদি আফিম কি চণ্ডু থাকে ত’ দিয়া আমার প্রাণরক্ষা কর । ধরে প্রাণ আসিলে তোমার স্ত্রীকে এবং তোমাকে ঘরে লইয়া যাইব । কেবল ঘরে রাখিয়া রাখিয়া আসিব না, এখন দেখিতেছি আমাকে চিরকাল তোমার গোলামি করিতে হইবে। চণ্ডু না পাইলে ত” আর বঁচিব না; সুতরাং চণ্ডুর জন্য তোমার গোলামি করিতে হইবে। দুইবেলা চণ্ডু দিও, যা বলিবে তাহা করিব, তোমার সংসারে ভূতের মত খাটিব।” আফিমের মহিমা আমীর ভালরূপেই জানিতেন। তিনি বুঝিলেন, লুলু যাহা বলিতেছে, তাহা প্রকৃত কথা। প্রতারণা ইহাতে কিছুই নাই। পকেট হইতে বাহির করিয়া প্ৰথমে তাহাতে একটু কাচা আফিম খাইতে দিলেন। ইহাতে ভূতের শরীর কিঞ্চিৎ সুস্থ হইল; শরীরের অস্থি-সমুদয় পুনরায় যে যাহার স্থানে গিয়া যোড়া লাগিল। তখন সে উঠিয়া বসিল । তারপর আমীর তাহাকে চণ্ডুপান করিতে দিলেন। তাহাতে তাহার দেহে পুনরায় প্ৰাণ-সঞ্চার হইল, শরীর স্বচ্ছন্দতা লাভ করিল। লুলু তখন আমীরের পদতলে পড়িয়া বলিল,—“মহাশয়! আপনার নিকট আমি ঘোর অপরাধে অপরাধী, বড়ই দােষ করিয়াছি, কৃপা করিয়া আমার অপরাধ মাৰ্জনা করুন। বড়ই নিদারুণ ক্লেশ হইতে আপনি আমাকে মুক্ত করিলেন। আপনার ঋণ কখনই পরিশোধ করিতে পারিব না। চিরকাল দাসানুদাস হইয়া আপনার এবং এই বিবিজীর সেবা করিব। এখন সকাল সকাল আহারাদি করিয়া লাউন। আজই রাত্ৰিতে আপনাদিগকে ঘরে লইয়া যাইব ।” আমীর ও আমীরের রমণী তখন সেখান হইতে চলিয়া সন্ধ্যার পর ভূত আসিয়া দ্বারে উপস্থিত হইলুং দুইজনে লুলুর পিঠে বসিলেন। জল হইতে বাহির হইয়া লুন্থ আকাশ-পথে চুলিতে লুপ্তির্ভুঞ্জ প্রায় রাত্রি দুই-প্রহরের সময় সকলে দিল্লী নগরে আসিয়া পৌছিলেন । আমীরের গিয়া ভূত ইহাদিগকে নামাইয়া দিল। আমীর ফকির-বেশে গৃহত্যাগ করিবার সময় ধ্রুর চাবি দিয়া গিয়াছিলেন। চাবি খুলিয়া স্ত্রী-পুরুষে ঘরে প্ৰবেশ করিলেন। লুলুর জন্য একটি ঘর নির্দেশ করিয়া বলিলেন, লুলু এই ঘরটি তোমার, তুমি এই ঘরে থাকিবে। আফিম কি চণ্ডু যাহা চাহিবে, তাহাই তোমাকে দিব।” লুলু বলিল—“হাঁ, এ জনমে আপনাদিগকে ছাড়িয়া কোথাও যাইব না। ছাড়িবার যৌও নাই।” পরদিন প্ৰাতঃকালে আমীর প্রতিবাসীদিগকে ডাকিয়া আনুপূর্বিক সমস্ত ঘটনা তাহাদিগকে শুনাইলেন। আমীর বাটী ফিরিয়া আসিয়াছেন দেখিয়া সকলে সুখী হইলেন। =भ एक्षा লুচি যে যাহার ঘরে ফিরিয়া যাইলে, লুলু ও আমীর দুই জনে একসঙ্গে শুইয়া সুখে অনেকক্ষণ ধরিয়া চণ্ডুপান করিলেন। এইরূপে ভূতে-মানুষে ক্ৰমে বড়ই ভাব হইল। একদিন চণ্ডু খাইতে খাইতে আমীর বলিলেন—“হে লুলু! হে চণ্ডুসেবক-কুল-তিলক! আমার বড় সাধ হইতেছে যে, পুনরায় বন্ধুদিগের সহিত একবার সাক্ষাৎ করি,-যাহারা স্ত্রী-উদ্ধার বিষয়ে আমার বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন। তখন তুমি আমার শত্রু ছিলে, এখন কিরূপ প্ৰাণের মিত্ৰ হইয়াছে, তাহাও ଦ୍ରୁତ୍ଵv୭ ଓ ସ୍ତୂଷ୍ଟ yo sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro