পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শীতলাটি হাতে করিয়া প্রতিদিন ভিক্ষায়ও বাহির হইতাম । তাই কি ছাই শীতলার গান জানি! কিন্তু চিরকাল হইতে আমি দশ-কৰ্ম্ম; যে কাজে দাও, সেই কাজে আছি, সব কাজে হুনহুর। নিজেই একটি শীতলার ছড়া বঁধিলাম, তাহার কতকটা বলি, শুন— “শীতলা বলেন আমি যার ঘরে যাই । ছেলে বুড়ো আণ্ডা বাচ্ছ টপ টপূ খাই৷ চৌষট্টি হাজার এই বসন্তের দিল । গৃহস্থের ঘরে গিয়া দেয় রসাতল৷ বড় বসন্ত ছোট বসন্ত বসন্তের নাতি । কারো ঘরে নাহি রাখে বংশে দিতে বাতি৷ ডেকে বলে যত ঐ কাল বসন্তের পাল। পােটা ছাড়া কোরে ছাড়াই লোকের গায়ে ছাল৷৷ ফাটা বসন্ত বলে আমরা কেও-কোেটা নই। ফেটে মরে মানুষ যেন তপ্ত খোলার খই৷ নেচে নেমে বলে ওই ধাসা বসন্ত যত । মাংস পচা গন্ধে প্ৰাণ করি ওষ্ঠাগত৷ পাতাল-মুখো বসন্ত বলে নীচে কোরে মুখ । হাড়-মাস খেয়ে আমরা প্ৰাণে পাই সুখ৷ খুদে বসন্ত বলে তোমরা মিছে কর গোল চাল পয়সা আনো হবে পূজার বাজার। বসন্ত ধরিবে নয় তো চৌষট্টি হাজার৷” বলিব কি ভাই আর রোজগারের কথা ! ধামা ধামা চাল আর গণ্ডা গাণ্ডা পয়সা । ধামায় যেন পয়সা বৃষ্টি হইতে লাগিল। সে সময় যদি কেহ বলিত যে,-“নয়ান! হাইকোর্টের জর্জগিরি খালি হইয়াছে, তুমি সেই জাজগিরিটি কর।” আমি তাতেও রাজি হইতাম না। প্রথম দিনের রোজগারটি আনিয়া গিনীকে বলিলাম,-“গিনি! একবার বাহির হইয়া দেখ দেখি বাপ-ধোন! ব্যাপারখানা কি? বড় যে গুলিখোঁর বলিয়া মুখঝামটা দাও! গুলিখোর না হইলে এরূপ ফিকির বাহির করে কে, বাপ-ধোন? এরূপ বুদ্ধি যোগায় কার?” কিন্তু, দেখ লম্বোদর ভায়া! তোমাদের আমি একটি জ্ঞানের কথা বলি। সাদা চোখেদের যে কখনও বিশ্বাস করিবে না, সে কথা বলা বাহুল্য। সাদা চোখোদের মনটি সদাই জিলেপির পাক। সত্যকথা করে বলে, তারা একেবারে জানে না। প্রমাণ চাও? আচ্ছা প্রমাণও করিয়া দিই। এই দেখ, ছিচকে-চোর বলিয়া তাহারা আমাদের মিথ্যা অপবাদ রটায়। আচ্ছা তাহারা তামা, তুলসী, গঙ্গাজল হাতে করিয়া বলুক,-কিবে কার ছিচকে কোন গুলিখোর চুরি করিয়াছে? আডিডাধারী মহাশয়! আপনিও বলুন, —ছিটের জন্য কবে কোন গুলিখেরি আপনার Str8 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comৰ্ম্মিািক্যনাথ ঘাট”সখিৰ