পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বলিলাম,- “সুন্দৱী! চমৎকার রূপবতী কন্যা। ছবিখানি তুলিয়াছেও ভাল। কিন্তু বাম গালের এই স্থানে একটু যেন মুছিয়া গিয়াছে। আর একখান দেখি?” রসময়বাবু কন্যার আর পাঁচখানি ছবি আমার হাতে দিলেন। একে একে সকলগুলিরই বাম গালের একস্থানে সেই মোছা দাগটি দেখিতে পাইলাম। তখন রসময়বাবু হাসিয়া বলিলেন,- “বাম গালে এ স্থানটা মুছিয়া যায় নাই। আমার কন্যার এই স্থানে ক্ষুদ্র একটি আঁচিল আছে, ইহা তাহার দাগ।” যাহার এ ফটােগ্রাফ, তাহাকে কোথায় যে দেখিয়াছি, তবুও আমার মনে হইল না। সকলের দেখা হইলে রসময়বাবু দুইখানি ছবি সেই দিনের ডাকেই দিগম্বরবাবুর নিকট প্রেরণ করিলেন। তাহার পরদিন রসময়বাবুর পরিবারবর্গ নদীতে স্নান করিতে গিয়াছিলেন। বেলা প্ৰায় এগারটা বাজিয়া গিয়াছিল। রসময়বাবু আফিসে গিয়াছিলেন। বাহিরের ঘরে আমি একাকী বসিয়া আছি, এমন সময় রসময়বাবুর পরিবারবর্গ যে এক্কাতে স্নান করিতে গিয়াছিলেন, সেই এক্কা ফিরিয়া আসিল। রসময়বাবুর বাসার সম্মুখে সামান্য একটু বাগানের মত ছিল। বাগানের পর বাড়ী। প্ৰথম বৈঠকখানা, তাহার পশ্চাতে অন্দরমহল। অন্দরমহলে যাইবার নিমিত্ত বাগানের ভিতর বৈঠকখানার পার্শ্বে একটি খিড়কি দ্বার ছিল। এক্কা সেই খিড়কির দ্বারে গিয়া লাগিল। এক্কা হইতে নামিয়া স্ত্রীলোকেরা একে একে বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিল। স্ত্রীলোকেরা সকলেই দাঁড়াইলাম। তখনও এক্কা চলিয়া যায় নাই। বৈঠকখানার বারান্দায় দাড়াইয়া আমি সেই এক্কা, তাহার ঘোড়া ও ভীমসদৃশ দেহবিশিষ্ট সেই এক্কাও দেখিতে লাগিলাম। এমন সময় সেই খিড়কি দ্বারের নিকট বাটীর ভিতর হইতে কে -- “ও কুসুম! এক্কার উপর ভিজা গামছাখানা পড়িয়া আছে। নিয়ে এস তো মা!” & রসময়বাবুর পরিবারের মধ্যে যে অভিভাবুকুঠুরূপ একজন বয়স্কা বিধবা স্ত্রীলোক আছেন, এ কণ্ঠস্বর তাহার। তিনি রসময়বাবুর ভগিনী এখন পৰ্যন্ত তাহা আমি জানিতে পারি নাই। তাহার সেই কথা শুনিয়া একটি স্ত্রীলোক বাটীর ভিতর হইতে ধীরে ধীরে ঘাড় হেঁট করিয়া বাহির হইল। এক্কার পদ তুলিয়া তাহার ভিতর হইতে গামছাখানি লইয়া পুনরায় সেইরূপ ঘাড় হেঁট করিয়া বাটীর ভিতর সে চলিয়া গেল। গামছা লইয়া যাইতে এক মিনিট কালও অতিবাহিত হয় নাই। কিন্তু তাহার ঘোমটা ছিল না, মাথায় কাপড় পৰ্যন্ত ছিল না। মাথা হেঁট করিয়া ছিল বটে, তথাপি আমি তাহার মুখ দেখিতে পাইলাম। তাহার মুখ দেখিয়া আমার ব্যাৎ করিয়া পূৰ্ব্বকথা সমুদায় স্মরণ হইল। ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ কাশীর কুসী বটে। এইমাত্র আমি যাহাকে দেখিলাম, সে কুসী ভিন্ন আর কেহ নয়। সেদিন যাহার ছবি দেখিয়াছিলাম, সে-ও কুসী ব্যতীত আর কেহ নয়। সেই মুখ, সেই বাম গালে আঁচল। কুসী বটে, কিন্তু সে কুসী। আর নাই! কেবল তিন বৎসর পূৰ্ব্বে তাহাকে আমি দেখিয়াছিলাম। ইহার মধ্যেই সে বিশ্ৰী হইয়া গিয়াছে। সে পুরন্ত গাল তাহার নাই। রক্তিম (*** firla citya gas xel - www.amarboicom a SNS