পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ তুমি তো বড় তেরপণ্ড এই বিপদের সময় দিগম্বরবাবু এক গোল উপস্থিত করিলেন। আমাকে লক্ষ্য করিয়া তিনি বলিলেন,- “তুমি তো বড় তেরপণ্ড দেখিতে পাই! কি বলিয়া তুমি আমার স্ত্রীকে কোলে লইয়া বসিলে? ডাক্তারি করিবে, ডাক্তারি কর; পরের স্ত্রীকে কোলে করিয়া ডাক্তারি করিতে হয়, এ তো কখনও শুনি নাই।” চেষ্টা করিলেন। অচেতন হইয়া কুসী পড়িয়া আছে, তাহার প্রাণ-সংশয়; এরূপ সময়ে ফোকলার এই পাগলামি দেখিয়া আমার কিছু রাগ হইল। আমি বলিলাম— “You are a brute” (অর্থাৎ তুমি একটা পশু!) দিগম্বরবাবু আরও ক্রোধাবিষ্ট হইয়া, আমাকে এক ধাক্কা মারিলেন। আমি বুকিয়া পড়িলাম। পুনরায় উঠিয়া, বরযাত্রিগণকে সম্বোধন করিয়া আমি বলিলাম,- “মহাশয়গণ! এ বে-পাগলা বুড়োকে লইয়া আপনারা বাসায় গমন করুন। কন্যার অবস্থা দেখুন,-বঁচে কি না। তাহার ঠিক নাই। এ সময়ে এরূপ পাগলামি ভাল দেখায় না।” হবু-জামাতার ভাব-ভঙ্গী দেখিয়া, ঘূণায় ও ক্ৰোধে রসময়বাবুর চক্ষুদ্বয় আরক্ত হইয়া উঠিল। কিন্তু পরীক্ষণেই তিনি আত্মসংবরণ করিয়া, বাসায় লইয়া যাইবার নিমিত্ত, অতি বিনয়ভাবে সকলের নিকট অনুরোধ করিলেন। দুইজন বরযাত্রী দিগম্বরবাবুকে দুই হাত লাগিলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই যাইবেন না । ক্রোধে তিনি কাপিতে কুঁকিয়া কুঁকিয়া, ঘুসি দেখাইয়া তিনি Ο Χ রাখিয়াছিল, তাহা না হইলে, ধা হয়, চড়টা-চাপড়টা, কিলটা-ঘুসিটা খাইতে হইত। সেই সময় ফোকলা মুখে হাউ হাউ করিয়া তিনি কত কি বলিতে লাগিলেন। তাঁহার মুখগহবরের দুইপার্শ্বে সাদা ফেকো পড়িয়াছিল, তাহা ঢাকিবার নিমিত্ত থেতো-করা পান সৰ্ব্বদাই তিনি মুখে রাখিতেন। তাম্বুল রঞ্জিত লালা,-রক্তের ন্যায় তাহার কষ দিয়া প্রবাহিত হইতে লাগিল। ফুলকাটা কামিজের বক্ষদেশ ও বেলফুলের মালা ভিজিয়া গেল। ঘোর উগ্ৰমূৰ্ত্তি। তাহার উপর শোণিতপ্রায় লালার প্রবাহ-তাহাকে ঠিক যেন রক্তমুখী মন্দা-কালীর ন্যায় দেখাইতে লাগিল। একে সেই হাউ হাউ, তাহার উপর আমার মন তখন মূৰ্ছিত কুসীর দিকে, সকল কথা আমি তাঁহার বুঝিতে পারিলাম না। দুই একটা কথা কেবল আমার কর্ণগোচর হইল, যথা,- “তুমি আমাকে বুড়ো বলিলে! এরূপ কটু কথা কেহ কখন আমাকে বলে নাই! তোমার নামে আমি ড্যামেজের নালিশ করিব। তোমাকে জেলে দিব; যত টাকা খরচ হয়, তাহা করিব।” ইত্যাদি। রসময়বাবু একটু রাগিয়া উঠিলেন। তিনি বলিলেন,– “মহাশয়গণ! আপনারা কি তামাসা দেখিতেছেন? কন্যার অবস্থা দেখিয়া, আপনাদের কি একটু দয়া হয় না? আর তােমার বাপু কি একটু জ্ঞান নাই? আমার কন্যা যদি বঁাচে, তবে তো তোমার সহিত বিবাহ হইবে? এখন আপনারা বাসায় গমন করুন।” রসময়বাবুর এই কথা শুনিয়া দিগম্বরবাবু একটু নরম হইলেন। তিনি বলিলেন, — “আচ্ছা, ফোকুলা দিগম্বর sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SRAN