পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিরিশ বলিলেন,- “আমি ডাক্তারী শিক্ষা করিতেছি। অল্পদিনের মধ্যেই বোধ হয় ডাক্তার হইব । চল, তোমার পিতাকে গিয়া দেখি। আমি যদি কোন প্ৰতিকার করিতে পারি, তো ভালই; তাহা না হইলে, আমাকে ঠিকানা বলিয়া দিও, আমি ডাক্তার আনিয়া দিব। এ রাত্ৰিতে, এ অন্ধকারে, এ বৃষ্টিতে তোমায় যাইতে হইবে না।” বালিকা সে কথায় সম্মত হইল। বালিকা আগে আগে যাইতে লাগিল। গিরিশ তাহার পশ্চাতে যাইতে লাগিলেন। দ্বিতীয় অধ্যায় মাধব চক্ৰবৰ্ত্ত বালিকা আগে আগে চলিল; গিরিশ তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিলেন। কিছুদূর গিয়া তাহারা আরও একটি সঙ্কীর্ণ অন্ধকারময় অপরিষ্কার গলিতে প্ৰবেশ করিলেন। সেই গলির ভিতর একটি একতালা বাটীর সম্মুখে উপস্থিত হইয়া, বালিকা দ্বারে ঘা মারিল। ভিতর হইতে একজন বয়স্ক স্ত্রীলােক আসিয়া দ্বার খুলিয়া দিলেন}র্বািলকা তীহাকে মৃদুস্বরে বললেন,— “সে ডাক্তার হয় নাই, অন্য ডাক্তার আনিয়াছি।” 9 Μ গুৱেণ্ঠ করিলেন। বাটীর ভিতর প্রবেশ করিয়াই ন্তের্ভু*সে ঘরে কেহ নাই; সব অন্ধকার। বৈঠকখানার s র-বাটী। ভিতর-বাটীতে দুইটি ছোট একতলা , স্ত্রীলোক দুইটির অলঙ্কারশূন্য দেহ, মলিন বস্ত্ৰ, এই সমুদয় দেখিয়া গিরিশ মনে করিলেন যে, ইহারা নিতান্ত দরিদ্র। যে ঘরে মিট-মিটু করিয়া একটি প্ৰদীপ জুলিতেছিল, সকলে সেই ঘরে প্রবেশ করিলেন। ঘরের একপার্শ্বে একখানি তক্তপোষ ছিল। সেই তক্তপোষে একজন কৃষ্ণকায় পুরুষমানুষ শয়ন করিয়াছিলেন। তাঁহার শরীর কৃশ ও রুগ্ন বলিয়া বােধ হইল। বয়ঃক্রম পঞ্চাশের অধিক হইবে। গলায় যজ্ঞোপবীত, তাহাতে গিরিশ বুঝিলেন যে, ইহারা জাতিতে ব্ৰাহ্মণ। গিরিশ আরও বুঝিলেন যে, বয়স্কা স্ত্রীলোক তাঁহার গৃহিণী ও বালিকা তাঁহার কন্যা। কিন্তু তাহাকে সেই কৃষ্ণকায় ব্যক্তির কন্যা বলিয়া বোধ হয় না। চমৎকার আহা-মারি রূপ না হউক, বালিকা সুন্দরী বটে;— মাজা-মাজা রং, বড় বড় চক্ষু, বক্র ভ্ৰীযুগল, পূর্ণ গণ্ডদেশ, গোল গোল গড়ন, মেঘরাশির ন্যায় কেশ, তাহার উপর একটু মৃদু-মধুর ভাব। সেই মৃদু-মধুর ভাবে মন আকর্ষণ করে। সেই মৃদু-মধুর ভাবে মস্তক অবনত করিয়া, বালিকা যখন দুই-একটি কথা বলে, তখন সতৃষ্ণ নযনে সকলকেই তাহার মুখপানে চাহিয়া থাকিতে হয়, তাহার সেই কমলমুখনিৰ্গত পীযুষময় কথা আরও দুইএকটি শুনিতে ইচ্ছা হয়। সামান্য সেই প্ৰদীপের আলোকে বালিকার মুখশ্ৰী দেখিয়া গিরিশের মন মোহিত হইল। বালিকার বয়স বুঝি দ্বাদশ উত্তীর্ণ হইয়াছে। ব্ৰাহ্মণী আধ ঘোমটা দিয়া স্বামীর পদতলে তক্তপোষের এক কোণে বসিলেন। মাঝে মাঝে তাহার চক্ষু দিয়া ফোঁটায় ফোঁটায় জল পড়িতেছিল। মাঝে মাঝে আঁচল দিয়া তিনি সেই জল মুক্তা-মালা w°»ዓ6ድ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro