পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্ত্রেও বিশেষ কোনরূপ উপকার হইল না । এইরূপে প্ৰায় একমাস কাটিয়া গেল। ইতিমধ্যে গৌরীশঙ্করের মাতা এক ব্ৰাহ্মণের কথা শুনিলেন। তাঁহার নিবাস প্রায় দশ ক্রোশ দূরে। তিনি ভূত-প্ৰেত সম্বন্ধে জ্ঞানী ব্যক্তি বলিয়া প্রসিদ্ধ। গৌরীশঙ্করের মাতা বৃদ্ধ ছিলেন, তথাপি লাঠি হাতে করিয়া আস্তে আস্তে সেই ব্ৰাহ্মণের গ্রামে গিয়া উপস্থিত হইলেন। ব্ৰাহ্মণের পদতলে তিনি শয়ন করিয়া পড়িলেন। বৃদ্ধার কাতরোক্তি শ্রবণ করিয়া ব্ৰাহ্মণের দয়া হইল। তিনি গৌরীশঙ্করের নিকট আগমন করিয়া নানারূপ ঔষধ প্ৰদান করিলেন ও নানারূপ মন্ত্র পাঠ করিলেন। দুই দিন কোনরূপ ফল হইল না। তৃতীয় রাত্রিতে, “অ ক্ষঃ ক্ষাং-ক্ষেী কাজসি নীে,” ব্ৰাহ্মণ যেই এই কয়টি শব্দ উচ্চারণ করিয়াছেন, আর গৌরীশঙ্কর বিপরীতভাবে হাসিয়া উঠিলেন। হাসিতে হাসিতে তিনি উঠিয়া বসিলেন। এতদিন পরে এই প্রথম তিনি উঠিয়া বসিতে সমর্থ হইলেন। গৌরীশঙ্করের এইরূপ ভাব দেখিয়া, ব্ৰাহ্মণ পুনরায় এই শব্দগুলি উচ্চারণ করিলেন, “রা রাঁ সঁ সঁ লা লী হু হঃ সংসঃ খং খঃ তং তঃ ধং সং ক্ষুংঐং হুং হুং হুং ক্ষীং ক্ষীং সংসঃ ছং ছঃ ধং সঃ তুং ভুঃ হ্রীং হুং হুং হু ক্ষীং ক্ষীং ক্ষেীং সং ফং ফঃ ফটু স্বাহ; কাহার আজ্ঞা—না, শ্ৰীশ্ৰীউডুডামৱেশ্বরের আজ্ঞা।” এ শব্দগুলির অর্থ কি, যাঁহাদের এ সম্বন্ধে বোধ আছে, তাহারা অনায়াসেই অবগত হইতে পরিবেন। নানারূপ মন্ত্রবলে ব্ৰাহ্মণ গৌরীশঙ্করকে জড়ভাব হইতে মুক্ত করিলেন; কিন্তু তিনি ঘোর উন্মাদ অবস্থায় রহিলেন। তাহার জ্ঞান কিছুমাত্ৰ হইল না। রাত্রিতে প্ৰহারও বন্ধ হইল না। গৌরীশঙ্কর যথারীতি আহারাদি করিতে লাগিলেননে হাটিয়া বেড়াইতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মণের চিকিৎসায় এই পৰ্যন্ত হইল। কিন্তু তিনি কথা কহিতেন না। কখন কখন আপনাআপনি, অথবা লোকের কথার প্রত্যুত্তরে ক্ৰেৱৰ্ত্তস্থ-বী, যু-দে” এই শব্দ উচ্চারণ করতেন। এই দুইটি শব্দ ভিন্ন অন্য কথা তিনি আনিতেন না। আর এই দুইটি শব্দ উচ্চারণ করিবামাত্র তাহার। সৰ্ব্বশরীর w ও সেই সময় আতঙ্কে তাহার মুখমণ্ডল বিবৰ্ণ হইয়া উঠিত। প্রতি রাত্ৰিতে ভূতের গৌরীশঙ্করের দেহ দিন দিন শীর্ণ হইতে লাগিল । অবশেষে গৌরীশঙ্করের মাতাকে ব্ৰাহ্মণ বলিলেন,- “আপনার পুত্রকে সামান্য ভুতে পায় নাই। সামান্য ভূত হইলে আমি তাহার প্রতিকার করিতে পারিতাম। ইহার শরীরে বেতাল আশ্রয় করিয়াছে। বেতালকে দূর করি, আমার সেরূপ ক্ষমতা নাই।” এই বলিয়া ব্ৰাহ্মণ প্ৰস্থান করিলেন। মাতা যথাসাধ্য চেষ্টা করিলেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁহার চেষ্টা সফল হইল না। সেই একমাত্র পুত্র। তাঁহার যখন এ দশা হইল, তখন সংসার ধৰ্ম্ম আর কাহাকে লইয়া? গৃহে থাকিয়া আর লাভ কি? মাতা ভাবিলেন,- পুত্রকে লইয়া যেদিকে দুই চক্ষু যায়, সেইদিকে আমি চলিয়া যাইব । নানা তীৰ্থস্থানে আমি ঘুরিয়া বেড়াইব। যদি কোন স্থানে কোন মহাত্মার সহিত সাক্ষাৎ হয়, তাহা হইলে তাঁহার কৃপায় আমার পুত্র আরোগ্যলাভ করিবে। আর তা না হয়, তাহা হইলে পথে পথে বেড়াইয়া, আমি অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করিব। আমার অবৰ্ত্তমানে এই উন্মাদের কপালে যাহা আছে, তাহাই হইবে।” এইরূপ ভাবিয়া, তিনি পুত্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন,- “গৌরীশঙ্কর বাবা! আমরা যদি কাশী 2 Փ7-Հյթ]] sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro 8Sry