পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না। এক বার নির্জনে পাইয়া, ঝি তাহার গায়ের কাপড় খুলিয়া ফেলিল। দেখিল যে, তাহার সৰ্ব্বাঙ্গে কালশিরা দাগ, অষ্টে পৃষ্টে সমস্ত গায়ে প্ৰহারের দাগ। কতক নূতন দাগ, কতক পুরাতন দাগ! তাহার গায়ে এরূপ সব দাগ কেন, ঝি তাহা জিজ্ঞাসা করিল। প্ৰভাবতীর চক্ষু দুইটি কেবল ছল ছল করিতে লাগিল। সে কোন উত্তর করিল না। পাড়ার একজন প্রতিবেশিনী,-বিকে সকল কথা বলিলেন। প্রতিবেশিনী বলিলেন, — “প্ৰতিদিন দুই একবার মিনাসে, মাগী আর ছোড়া দুধের বাছাকে প্রহার করে। কি বলিব গো! নিদারুণ ভাবে প্ৰহার করে। চোরকেও লোক এমন নিষ্ঠুরভাবে প্রহার করে না; আর বিনা দোষে প্রহার করে। এই কালকার কথা বলি শুন, তাহা হইলেই বুঝিতে পরিবে। কাল গিনী মুড়ি ভাজিয়া বীেকে তুলিয়া রাখিতে বলিলেন। বীে প্ৰথমে হাতটী উত্তমরূপে ধুইল, তাহার পর শুকনা কাপড়ে হাতটী মুছিয়া মুড়ির ধামাটী ছুইল। আমি সেখানে দাঁড়াইয়া; আমি স্বচক্ষে সব দেখিলাম। তবুও মাগী বলিল যে,- “তুই ভিজা হাতে মুড়ির ধামা ছুইয়াছিল, মুড়ি সব শগড়ি হইয়া গিয়াছে।” এই কথা বলিয়া, যা নয়। তাই বেঁটাকে গালি দিল। সন্ধ্যার পর কৰ্ত্তা ও ছেলে বাড়ী আসিলে তাহাদিগকে বলিয়া দিল। তিন জনে পড়িয়া লাথি, চড়, কিল—যত পারিল— মারিল; কেহ বা বেত মারিল, কেহ বা জুতা দিয়া মারিল, কেহ বা ঝাঁটার বাড়ী মারিল। সে মারের কথা তোমাকে আর কি বলিব? মনে করিতে গেলে বুক ফাটিয়া যায়। কিন্তু আমন গুণের বীে আর হবে না। বাছার মুখে কথা নাই। মাগীর বি চাকর কেহ তিষ্টিতে পারে না । বেটীকেই সকল কাজ করিতে হয়। সমস্ত দিন কাজুয়েকরিতেছে ঈৰ্থার পর জল-তোলা। দিনের মধ্যে পুকুর য়া তাহা ঠিক করিতে পারা যায় না। এত ঈ মুখাটী বুজিয়া চুপ করিয়া সৰ্ব্বদাই কেবল কাজ করিতে থাকে। মাগীর যেমন শুচিবাই শুইতমনি মাগীর হিংসা। বীেয়ের সঙ্গে পাছে বেটার ভাব হয়, সেই হিংসায় মাগী দাম ফাটিয়া মরে। বল কি গো! বেটাকে মাগী একবার বীেয়ের কাছে যাইতে দেয় না। এমন মা কে কবে দেখিয়াছে বা শুনিয়াছে! আমরা হইলে এ যন্ত্রণা সহ্য করিতে পারিতাম না! হয় গলায় দড়ি দিয়া, না হয় বিষ খাইয়া মরিতাম।” এই গেল এক পক্ষের কথা। অপর পক্ষের কথা অন্যরূপ। প্রভাবতীর শ্বাশুড়ীর মুখে পাড়ার লোকে সৰ্ব্বদা তাহা শুনিত। প্ৰভাবতীর শ্বাশুড়ী বলিতেন,- “আমার বীেয়ের গুণের কথা তোমাদিগকে আর কি বলিব! হাড় আমার ঝালা-পালা হইয়া গেল। একটা কথা বলি, শুন । আমি বলিয়া দিয়াছি যে,- “বীে মা! স্নান করিয়া, ঘাটের উপর উঠিয়া, অল্প ক্ষণের জন্য উলঙ্গ হইয়া, পরণের বাসি ভিজা কাপড়খানি দূরে ফেলিয়া দিবে। তাহার পর শুষ্ক কাচা কাপড়খানি পরিবে। তা না করিলে ছোয়া-ছুয়িতে কাচা কাপড়খানিও বাসি হইয়া যাইবে। তাহার পর সেই বাসি ভিজা কাপড়খানি ভাল করিয়া একবার পুকুর-জলে কাচিয়া, বাড়ীর ভিতর আনিয়া গঙ্গাজলে ধুইয়া লাইবে।” আমার কথা বেঁীমায়ের গ্রাহ্য হয় না। ভিজা বাসি কাপড়ের উপরেই শুষ্ক কাচা কাপড় পরা হয়। ইহাতে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম কি করিয়া থাকে, তা বল দেখি? তোমরা কি বল! উলঙ্গ হইতে লজ্জা করে? পুকুরের অন্য ঘাটে সব পুরুষ মানুষ থাকে? তা তাদের কি আর কাজ কৰ্ম্ম নাই? তারা কি এই দিক পানেই চাহিয়া থাকে? তাহার পর, তারা কি করে, না করে, সে খোজে তোমার কাজ কি! তুমি সে দিক পানে চাহিয়া না দেখিলেই তো হইল। অল্প ক্ষণের জন্য উলঙ্গ হইয়া, টুপ। যন্ত্রণাভোগ করিয়াও বাছার মুখে কথা Xyğfaff (qofqlif37! (łotą sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro