পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথপৰ্যটনে প্ৰবৃত্ত হইবে।” এই কথা বলিবামাত্র সেই স্থানে চমৎকার এক অট্টালিকার আবির্ভাব হইল। অট্টালিকার ভিতর প্রবেশ করিয়া রাইকো ও তাঁহার সঙ্গিগণ নানাপ্রকার সুখাদ্য ভোজন করিয়া পরিতৃপ্ত হইলেন ও মণিমুক্তাখচিত পৰ্যাঙ্কের উপর দুগ্ধফেননিভা শয্যায় শয়ন করিয়া তাহারা পরমসুখে রাক্রিযাপন করিলেন। প্ৰভাত হইলে প্রদেশ-দেবতা পুনরায় দর্শন দিয়া বলিলেন– “রাইকো! তোমাদিগকে রক্ষা করিবার নিমিত্ত আমি ও গ্ৰাম্য-দেবতা অদৃশ্যভাবে তোমাদের নিকট থাকিব। তাহা ব্যতীত আমি তোমাকে দুইটি অদ্ভুত সামগ্ৰী প্ৰদান করিতেছি। তাঁহাদের দ্বারা তোমার বিশেষ উপকার হইবে। প্রথম-স্বর্ণনিৰ্ম্মিত এই টুপিটি তোমাকে আমি প্ৰদান করিলাম। উষ্ণীষের নিম্নে ঠিক মস্তকের উপর তুমি ইহা পরিধান করিবে। যতক্ষণ ইহা তোমার আঘাতিত হইবে না। মায়া-অস্ত্ৰপ্ৰহারেও রাক্ষস তোমাকে কিছুমাত্র ক্ষতি করিতে পরিবে না। তাহার পর তোমাকে এই ঔষধটি প্ৰদান করিলাম। রাক্ষসরাজ সাকে নামক সুৱা সৰ্ব্বদাই পান করে। তাহার সুরার সহিত কোনরূপে এই ঔষধটি তুমি মিশাইয়া দিবে। ঔষধমিশ্ৰিত সুরাপান করিলে রাক্ষস হীনবল হইবে ও নিদ্রায় অভিভূত হইয়া পড়িবে। তখন তুমি তাহাকে অনায়াসেই বধ করিতে পারিবে ।” প্ৰদেশ-দেবতা রাইকোকে রাক্ষসেরা আচার-ব্যবহার সম্বন্ধে আরও নানারূপ উপদেশ প্রদান করিলেন। তাহার পর সেই কণ্টকময় দুৰ্গম পৰ্ব্বতের স্ট্রপ্তর পথ দেখাইয়া বহুদূর পর্যন্ত তিনি তাহদের সঙ্গে গমন করিলেন। অবশেষে অপর র কুলে গিয়া উপস্থিত হইলেন। র অগ্রসর হইয়া রাইকো দেখিলেন যে, সেই নদীতীরে এক যুবতী ভদ্রমহিলা বসিয়া রোদন' করি । তাহার পরিধেয় বস্ত্র রক্তে রঞ্জিত হইয়াছিল। নিকটে গিয়া রাইকো তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে, তাহার পিতামাতা, ভাই-ভগিনীকে রাক্ষসেরা ভক্ষণ করিয়াছে। আপাততঃ তাহাকে দাসী করিয়া রাখিয়াছে; কিন্তু কিছুদিন পরে তাহাকেও রাক্ষসেরা ভক্ষণ করিবে। সেদিন যে সমুদয় মানুষকে বধ করিয়া রাক্ষসগণ রন্ধন করিয়াছিল, তাহাদের রক্তেই তাহার বস্ত্র রঞ্জিত হইয়া গিয়াছে। কাপড় ধৌত করিতে সে নদীকূলে আসিয়াছে। এইরূপে আপনার পরিচয় প্ৰদান করিয়া যুবতী রাইকোকে রাক্ষস-দুর্গে প্রবেশ করিতে বারবার নিষেধ করিল। কিন্তু রাইকো তাহার নিষেধ শুনিলেন না। অবশেষে যুবতী রাক্ষস-দুর্গে প্রবেশের পথ রাইকোকে দেখাইয়া দিল। যথাসময়ে রাইকো ও তাঁহার সঙ্গিগণ দুৰ্গদ্বারে গিয়া উপস্থিত হইলেন। প্ৰকাণ্ড লীেহনিৰ্ম্মিত দ্বার। পৰ্ব্বতশিখরে অতি উচ্চ প্রাচীর দ্বারা দুর্গটি বেষ্টিত ছিল। সেই প্রাচীরের নিম্নে জলপূৰ্ণ গভীর খাদ খনিত ছিল। কাহার সাধ্য যে, বিনা অনুমতিতে দুর্গের ভিতর প্রবেশ করে। দুৰ্গদ্বারে বিকটাকার বহুসংখ্যক দানব প্রহরীস্বরূপ নিযুক্ত ছিল। মুখমণ্ডল কাহারও জালার মত, কাহারও দন্ত হস্তিদন্তের ন্যায়, কাহারও কর্ণ সূর্পের ন্যায়, কাহারও চক্ষু জ্বলন্ত মালসার ন্যায়। ফলকথা, তাহাদের ভীষণ আকৃতি দেখিলে মানুষের হৃৎকম্প হয়। সহসা চারিজন মনুষ্যকে দ্বারে দেখিয়া প্ৰহারিগণ বিস্মিত হইল! তাহার পর যখন রাইকো বলিলেন,- “আমরা সন্ন্যাসী, আজ রাত্রিতে

      • fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboicom ܕf)