পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশ্ৰিত করিল। এইরূপে মিছামিছি একটা ঔষধ প্ৰস্তুত করিয়া সে বাটী প্রত্যাগমন করিল। মনে করিল যে, এবার পাঁচ টাকা আদায় হইল। আর পাঁচ-ছয় শিশি এইরূপ ঔষধ দিতে পারিলেই তাহার সমুদয় টাকা আদায় হইবে। পুরুষোত্তম যখন বাড়ী ফিরিয়া আসিল, তখন অল্প অল্প অন্ধকার হইয়াছিল। সে দেখিল যে, রান্নাঘরের নিকট পিতেম ও গোলাপী বসিয়া সুড়বুড় করিয়া কথা কহিতেছে। কয়মাস ধরিয়া পুরুষোত্তম অন্য চাকর-চাকরাণীদিগকে বঞ্চিত করিয়া বিদ্যাধরীকে অধিক মাছ ও তরকারী দিয়াছিল, সেজন্য তাহার উপর সকলের রাগ। বিষ প্রদানের কথা পাছে পিতেম। কি গোলাপী শুনিয়া থাকে, সেই ভয়ে পুরুষোত্তমের প্রাণ উড়িয়া গেল। তাহাকে অধিকক্ষণ চিন্তা করিতে হইল না । পিতেম। তাহাকে ডাকিয়া বলিল,— “বামুনঠাকুর! সৰ্ব্বনাশ করিয়ােছ। বিদ্যাধরীকে বিষ দিয়াছ। পুলিশের লোক টের পাইলে এখনি তোমাকে বাধিয়া লইয়া যাইবে । তাহার পর তোমার ফাঁসি হইবে।” পুরুষোত্তমের মুখ শুকাইয়া গেল। সে বলিল,— “আমি সত্য সত্য তাহাকে বিষ দিই নাই। মিছামিছি করিয়া বলিয়াছি।” পিতেম বলিল,- “সে কথা কে বিশ্বাস করিবে? যদি বিষ দাও নাই, ঔষধ আনিবার জন্য তাহার নিকট হইতে পাঁচ টাকা লইয়াছ কেন? তবে বিদ্যাধরী, উন্মাদ, পাগল হইয়াছে কেন?” আশ্চৰ্য হইয়া পুরুষোত্তম বলিল,- “উন্মাদ পাগল হইয়াছে? আমি সত্য বলিতেছি, তাহাকে আমি পাগল হইবার ঔষধ দিই নাই।” लिटऊभ दलिल,- ‘cन ऊशानक छेन्ग़ान আমরা দুইজনে তাহাকে ধরিয়া রাখিতে পারি না। অনেক কষ্টে তাহাকে সুস্থ করিয়াছি। কিন্তু সুস্থ হইয়া সে আর এক সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে। বরাবর উ য়া গিামী-মায়ের খাটে গিয়া শুইয়াছে। মা বাগানের কলতলায় কাপড় কাচিতে । উপরে আসিয়া দেখেন যে, বিদ্যাধরী। তাহার বিছানায় শুইয়া আছে, আর রক্ষা রাখিবেন না। বাবুও এখনি বাড়ী আসিবেন । সকল কথা তখন প্ৰকাশ হইবে। তখন নিশ্চয় পুলিশ ডাকিয়া তোমাকে ধরাইয়া দিবেন।” পুরুষোত্তম ভয়ে কঁাপিতে লাগিল। সে বলিল,- “দোহাই ভাই! আমি তোমার পায়ে পড়ি। আমাকে এ বিপদ হইতে রক্ষা কর। এখন কি করিলে আমি রক্ষা পাই, তা বল। তাই।” পিতেম। উত্তর করিল,- “আমরা অনেক কষ্টে চেষ্টা করিয়াছিলাম, কিছুতেই তাহাকে গিনীর খােট হইতে উঠাইতে পারি নাই। তুমি যদি পাজা করিয়া কোনরূপে তাহাকে নীচে আনিতে পাের, তাহা হইলে উপায় হইতে পারে। কিন্তু আর বিলম্ব করিলে চলিবে না। গিনী এখনি উপরে আসিবেন । নিজের বিছানায় বিদ্যাধরীকে দেখিলে তিনি আর রক্ষা রাখিবেন না ।” পুরুষোত্তম বলিল,-“তবে আমি এখনি যাই।” গোলাপী বলিল,- “না, অমনি গেলে হইবে না। তাহাকে পাজা করিয়া ধরিলেই চীৎকার করিয়া সে ফাটাইয়া দিবে। তাহার চীৎকারে গিনী দৌড়িয়া আসিবেন, তাহা হইলে সকল কথা প্ৰকাশ পাইবে।” পুরুষোত্তম জিজ্ঞাসা করিল,- “তবে কি করি?” গোলাপী ঘরের ভিতর হইতে একটি বড় থলি আনিয়া পুরুষোত্তমের হাতে দিয়া Redd দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com%"oooooo