পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া কাজি তাহা জানিতে পারিল; প্রকাশ্যভাবে বলপূৰ্ব্বক আমাদের বাটী হইতে কন্যা লইয়া যাইতে কিন্তু সে সাহস করিল না। হুগলীতে সেই সময় হাঁসাই নামে একজন থানাদার ছিল। আমাদের বাড়ী লুণ্ঠন ও কন্যা হরণ কিরিবার নিমিত্ত কাজি থানাদারের সহিত পরামর্শ করিল। কিছুদিন পরে কন্যার সহিত হৃষীকেশের বিবাহ হইল। কন্যার কপাল বড় মন্দ। শুনিয়াছি যে, ছানিলাতলায় যখন স্ত্রী-আচার হইতেছিল, সেই সময় ভয়ানক ঝড় হইয়াছিল। তাহার পর যখন ডাকাত পড়িল। যশোদা নামে এক গোয়ালিনী এই পাড়ায় থাকিত। ডাকাতদিগকে সে দ্বার খুলিয়া দিয়াছিল। আমাদের দোতলা কোটা-বাড়ী ছিল। সেকালের সেই ছোট ছোট ইটের গাঁথুনি ছিল। উপরে উঠবার জন্য চাপা সিঁড়ি ছিল। আমার বৃদ্ধ প্রপিতামহ সেই চাপা সিঁড়ি বন্ধ করিয়া মেয়েদের ছাদের উপর ইট ছুড়িতে বলিলেন। তাহার পর আমার বৃদ্ধ প্রপিতামহ, আমার প্রপিতামহ ও তাহার ভ্রাতা হিষীকেশ ও বিবাহে নিমন্ত্রিত কয়েক ব্যক্তি ডাকাতদিগের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু প্ৰথম অবস্থায় তাহারা দসু্যদিগকে নিবারণ করিতে পারিলেন না। দসু্যাগণ কোনরূপ উপায় অবলম্বন করিয়া উপরে উঠিয়া পড়িল ও বাড়ীর লোকদিগকে নিদারুণ প্ৰহার করিতে লাগিল। বলা বাহুল্য যে, ডাকাতের দল কাজি ও থানাদার কর্তৃক আনীত হইয়াছিল। বর হৃষীকেশের উপর কাজির রাগ ছিল। ডাকাতগণ হৃষীকেশকে একেবারে মারিয়া ফেলিল; ইতোমধ্যে গ্রামের লোক আসিয়া বাহিরে ডাকাতদিগের সহিত যুদ্ধ করিতে লাগিল। বহুসংখ্যক গ্রামবাসী একত্ৰ হইয়াছে ডাকাতগণ ভয়ে পলায়ন করিল। কাজির মনস্কামনা পূর্ণ হইল না। কন্যা অন্নপূর্ণাকে রবার অবসর তাহারা পাইল না। কিন্তু বিবাহের রাত্রেই সুন্নপূর্ণ বিধবা হইলেন্যসূত্র র তখন বয়স কেবল চর্তুদশ বৎসর। বৃক্কুইচ্ছা প্রকাশ করলেন, আমার বৃদ্ধ প্রপিতামহ స్ట్రోలి শুনিলেন না। ময়ুর-অঙ্কিত লাল চেলী,- jর্কৈ দিয়াছি,-সেইরূপ চেলী পরিধান করিয়া, স্বামীর মস্তক আপনার কোলে লইয়া সতী চিতার উপর বসিলেন। চিতায় বসিয়া আমার বৃদ্ধ প্রপিতামহকে তিনি বলিলেন, — “বাবা! কাদিও না। যিনি আমার স্বামী হইয়াছেন, ইনি পুনরায় তোমার ঘরে জন্মগ্রহণ করিবেন, আর আমি পুনরায় তাহার পত্নী হইব। সেবার এরূপ বিড়ম্বনা ঘটিবে না। সেবার সুখস্বচ্ছন্দে আমরা সংসাৱযাত্ৰা নিৰ্ব্বাহ করিব।” এই বলিয়া সতী স্বৰ্গে গমন করিলেন। যশোদা গোয়ালিনী মনের খেদে কিছুদিন পরে জলার মাঝখানে এক গাছে গিয়া গলায় দড়ি দিয়া মরিল। প্ৰবাদ আছে যে, সেই অবধি ভূত হইয়া আছে; হৃষীকেশ তাহাকে দেখিয়া ভয় পাইয়াছিল। আড়াই বৎসর পূৰ্ব্বে মুসলমানেরা যখন তাহাকে বাটী লইয়া আসিল, তখন সে বিজ বিজ করিয়া কেবল বলিতেছিল,— ‘কালো মেঘে বিকিমিকি, সতী হাসে ফিাকিফিকি।” আজি সন্ধ্যেবেলা বেলগাছে উঠিয়া সে সেই কথা বলিতেছিল। তাহাতেই আমি তাহাকে চিনিতে পারিলাম। ফলকথা, আমার প্রপিতামহের ভ্রাতা এ সেই হৃষীকেশ আর নস্কর!—তোমার এই কন্যাও সেই অন্নপূর্ণ!” রায় মহাশয়ের কথা শুনিয়া হাড় ও নস্কর মহাশয় ঘোরতর বিস্মিত হইলেন। বলা বাহুল্য যে, কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে অন্নপূর্ণর সহিত হৃষীকেশের বিবাহ দিতে নস্কর মহাশয় সম্মত হইয়াছিলেন। এক্ষণে পূৰ্ব্ব-ইতিহাস শ্রবণ করিয়া তাহার মন আনন্দে পূর্ণ হইল। বহুকাল হইতে অন্নপূর্ণাকে যে হৃষীকেশের পত্নীরূপে বিধাতা নিয়ােজিত করিয়াছেন, নঙ্কর মহাশয় এক্ষণে SSRSR află cios (gs se - www.amarboi conf**