পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবিতে লাগিলেন। সোনা দিয়া বঁধানো নাক ও ছবির কথাও তিনি সেই সময় বলিয়াছিলেন। তাহা সত্য। তবে এ কথা সত্য হইবে না কেন? বেণীবাবুর সে সময় জ্ঞান ছিল না। তিনি এক দ্রব্যের নাম করিতে অন্য দ্রব্যের নাম করিয়াছেন। ইহাই সম্ভব। কিন্তু ঝম-ঝমি গাছের মূলে যে কিছু সত্য আছে—বিজয়ের তাহা নিশ্চয় বিশ্বাস হইল। বিজয় জিজ্ঞাসা করিলেন,— “বাটীর চারিদিক দেখিতেছি বৃহৎ বাগানের দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইহার ঝমৃ-ঝমি নামক কি কোন গাছ আছে?” বড়ালমহাশয় উত্তর করিলেন,- “ঝমৃঝমি গাছ! কিস্মিনকালে এ গাছের নাম শুনি নাই।” বিজয় বলিলেন, — “মৃত্যুকালে বেণীবাবু বলিয়াছেন যে, কাপড়কাচা সাবাঙের ন্যায় কোনরূপ চকচকে দ্রব্য তিনি এই ঝমৃ-ঝমি গাছের ভিতর রাখিয়াছেন। ইহার অর্থ কি?” বড়ালমহাশয় বলিলেন, —“তবে আর আমি বৃথা ঘরের মেজে খনন করি কেন?” বিজয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “মেজে খুঁড়িয়া আপনি কি খুঁজিতেছেন?” বড়ালমহাশয় উত্তর করিলেন,- “কিছুই নহে। আর কি খুঁজিব?” বিজয় বলিলেন,- “এই যে বলিলেন, তবে আর বৃথা খনন করি কেন?” বড়ালমহাশয় সে প্রশ্নের ভালরূপ উত্তর দিলেন না। অন্য কথা বলিয়া সে কথা তিনি চাপা। gिनन् । বেণীবাবু একাকী পশ্চিমে গিয়াছিলেন কেন? সঙ্গতিপন্ন লোক হইয়া একাকী নিভৃতে। কালব্যাপন করিতেছিলেন কেন,-“এই সমুদয় কথা বিজয় তাহার পর বড়ালমহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন; কিন্তু তাহারও ভালরূপ কোন উত্তর না । এইমাত্র কেবল তিনি জানিতে পারিলেন যে, একদিন রাত্রিকালে সহসা তিনি য়া গিয়াছিলেন । তাহার পর সেই গ্রামের দুই-চারি জন তিনি জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হইলেন যে, বেণীবাবু ও তাঁহার স্ত্রী এই বাটীতে বাস । বেণীবাবুর স্ত্রীকে গ্রামের লোক ‘সোনা-বীে” বলিয়া ডাকিত। তিনি সৰ্ব্বদা পূজা- জপ-তপ লইয়া থাকিতেন। কিছুদিন পরে একজন পীড়িত সন্ন্যাসী তাঁহাদের বাটীতে আগমন করেন। বিশেষরূপ যত্ন করিয়া বেণীবাবু তাঁহাকে রোগ হইতে মুক্ত করেন। সন্ন্যাসীর গায়ের বর্ণ নিতান্ত কালো ছিল। সেজন্য “কালা-বাবা।” বলিয়া সকলে তাঁহাকে ডাকিত। প্রায় তিন বৎসর “কালা-বাবা’ বেণীবাবুর বাটীতে বাস। করেন। তাহার পর সহসা বেণীবাবু, “কালা-বাবা’ ও ‘সোনা-বীে” কাশী গমন করিলেন, কেহ। তাহা জানে না। বড়ালমহাশয় বোধ হয় ইহার বিশেষ কারণ অবগত আছেন; কিন্তু কাহাকেও তিনি কোন কথা প্ৰকাশ করিয়া বলেন না । সে সন্ন্যাসী কোথায় গেলেন, বেণীবাবুর স্ত্রী ‘সোনা-বীে’ বা কোথায় গেলেন, তাহাদিগকে ছাড়িয়া বেণীবাবু অন্য স্থানে গমন করিলেন কেন,-এ সমুদয় কথার সন্ধান বিজয় কিছুই পাইলেন না। যাহা হউক, বিজয় কলিকাতা চলিয়া গেলেন। বেণীবাবু যে টাকা দিয়াছিলেন, সেই টাকায় তিনি সামান্যভাবে ব্যবসায় আরম্ভ করিলেন। অদৃষ্ট সুপ্ৰসন্ন হইল। সকল কাজেই তিনি প্রচুর লাভ করিতে লাগিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি একজন ধনবান লোক হইয়া উঠিলেন। বেণীবাবুর আদেশ সোনা দিয়ে বঁধানো সেই মানুষের নাক তিনি গলায় পরিয়াছিলেন। তাঁহার মনে ধ্রুববিশ্বাস হইল যে, এই নাক তাঁহার ভাগ্যের মূল। V8S দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comম্পিািকস্তানাখ মািট”সখিৰ