পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথোপকথন করিতে লাগিলেন। পূর্বের কথা কেহই উল্লেখ করিলেন না। তবে রায় মহাশয় যখন খাদা ভূতের দৌরাত্ম্য ও নিজের বিপদের বিবরণ করিলেন, তখন বিজয়বাবু কেবল এই কথা কহিলেন– “টাকা অতি তুচ্ছ বস্তু, টাকার জন্য পৃথিবীর লোক কেন যে পাগল, তাহা আমি বৃঝিতে পারি না। যম-যন্ত্রণা-অপেক্ষা দুঃখ আর কিছুই নাই। অর্থবলে মানুষ যখন সে যন্ত্রণা হইতে নিস্কৃতি পায় না, তখন ধনের জন্য মানুষ কেন যে এত লালায়িত হয়,তাহা আমি বুঝিতে পারি না। ঈশ্বরের নিকট টাকার জন্য কখন আমি প্রার্থনা করি নাই। কিন্তু তিনি নিজেই আমাকে প্রচুর অর্থ দিয়াছেন। ভগবানকে প্ৰসন্ন রাখিলে মানুষের কোন অভাব থাকে না।” রায়মহাশয় বলিলেন,- “হা, অধৰ্ম্ম করিলে কিছুতেই মঙ্গল হয় না। শীঘ্য হউক বিলম্বে হউক, পাপের ফল ফলিয়া যায়। আমার ঘোর সর্বনাশ হইয়া গিয়াছে। বাকি আর কিছুই নাই। বাকি আছে কেবল আমার নিজের প্রাণ ও তোমাদের বড়-বীেয়ের প্রাণ। আমাদের জন্য কোন দিন হয় তো হাঁক আসিবে। আমাদের প্রাণরক্ষার নিমিত্ত কেবল একমাত্র উপায় আছে। সে প্ৰতিকার তোমার হাতে ।” বিজয়বাবু বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,- “আমার হাতে? আমি কি করিতে পারি?” বিজয়াবাবু বলিলেন,- “হঁ্যা বাক্সর ভিতর যে টাকা ছিল, তাহা লইয়া আমি তাঁহার শ্ৰাদ্ধ করিয়ছিলাম।” রায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন, — “বাক্সর ভিতর আর কি ছিল।” বিজয়বাবু উত্তর করিলেন, — “র্তাহার বাটীর ফৰ্দ ছিল। খান কয়েক চিঠি ছিল, কতকগুলি দলিল ছিল, সে সমুদয় আমি क्रिशछि ।” রায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন,-“আৰু ၇• বিজয়বাবু উত্তর করিলেন,- “ ছবি ছিল, আর সোনার একটি অলঙ্কার ছিল। তাহার অধিক মূল্য নহে। কিন্তু হউক, সে অলঙ্কার তিনি আমাকে দিয়া গেছেন। সেই অলঙ্কার গলায় পরিধান করিতে মৃত্যুকালে তিনি আমাকে বার বার অনুরোধ করিয়া গিয়াছেন। তার পর যদি কখন কোন লোক আসিয়া প্রার্থনা করে, তাহা হইলে সেই অলঙ্কার তাহাকে দিতে তিনি বলিয়া গিয়াছেন।” রায়মহাশয় বলিলেন,- “সেই অলঙ্কার আজ আমি প্রার্থনা করিতে আসিয়াছি। তুমি আমাকে তাহা প্ৰদান কর।” বিজয়বাবু বলিলেন, — “আপনাকে দিতে তিনি বলিয়া যান নাই। আপনাকে আমি তাহা दि की ।” রায় মহাশয় বলিলেন,- “নিজের জন্য তাহা আমি চাই না। সে অলঙ্কার কি, ও সে দ্রব্য কাহার, তাহা যদি আমি বলিতে পারি, তাহা হইলে তুমি আমাকে দিবে কি না?” বিজয়বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন,- “সে দ্রব্য কি তাহা বলুন দেখি, শুনি । কিন্তু এখন হইতে আমি বলিয়া রাখি যে, বেণীবাবু যাহাকে দিতে বলিয়াছেন, সে লোক ভিন্ন অন্য কাহাকেও আমি তাহা দিব না।” রায় মহাশয় উত্তর করিলেন,- “সে দ্রব্য মানুষের নাক; সোনা দিয়া বাধাইয়া তাহার সহিত সোনার চেন সংলগ্ন করিয়া বেণীবাবু তাহা গলায় পরিতেন, অথবা বাক্সর ভিতর তুলিয়া রাখিতেন। সে নাক একজন সন্ন্যাসীর। সে এখন মরিয়া ভূত হইয়াছে; সে সেই খাদা やQ8 afraig -iibg gis so! - www.amarboi.comf437********