পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশে গিয়া ম্যালেরিয়া জুরে সে সংসার মরিয়া-হাজিয়া গিয়াছে। লম্বোদর বলিলেন,- “অনেক কথা তো শুনিলাম। তুমি বলিলে যে, সরকেলমহাশয়ের বাড়ী চুরি হয় নাই, আর সে চোরগণকে তুমি দ্বার খুলিয়া দাও নাই। তবে সন্ন্যাসী দুইজন কি করিয়াছিল যে, লোহার সিন্দুক ও অন্যান্য লোহা-লক্কড়ে টান ধরিয়াছিল?” ডমরুধর উত্তর করিলেন যে,- “আমি যখন কাপড়ের দোকানে কাজ করিতাম, তখন কোন কোন দিন সন্ধ্যার পর সে স্থানে পুথি পড়া হইত। মহাভারত রামায়ণের পর একজন আরব্য উপন্যাস পাঠ করিয়াছিলেন। তাঁহাতে এক রাজপুত্রের গল্প শুনিয়াছিলাম। জাহাজে চড়িয়া সমুদ্রপথে তিনি দেশ-বিদেশ পরিদর্শন করিয়াছিলেন। অবশেষে ঝড়ে তাড়িত হইয়া তাহার জাহাজ এক কৃষ্ণবর্ণের পাৰ্ব্বতের সমীপে উপস্থিত হইয়াছিল। জাহাজের যত পেরেক ছিল, সব খুলিয়া সেই পৰ্ব্বতে গিয়া লাগিল। জাহাজ জলমগ্ন হইল। আমার বোধ হয়, সন্ন্যাসীদের যে বৃহৎ কালীমূৰ্ত্তি ছিল, তাহা চুম্বক পাথরে গঠিত। কিন্তু সে সামান্য চুম্বক পাথর নহে। চোলাই করা চুম্বক পাথরের সার। সিংহ সম্রাট এরূপ পদার্থে গঠিত, যাহা ভেদ করিয়া চুম্বক প্রস্তরের আকর্ষণশক্তি দূরে যাইতে পারে না। প্রথম কয়দিন সন্ন্যাসী দুইজন দেবীকে সেই সিংহাসনে বসাইয়া পূজা করিয়াছিল। সে নির্মিত্ত সে কয়দিন লৌহদ্রব্যে টান ধরে নাই। শেষদিন গভীর রাত্ৰিতে তাহারা দেবীকে সিংহাসন হইতে নিম্নে রাখিয়াছিল, আর সেই সময় নিকটস্থ লীেহনিৰ্ম্মিত দ্রব্য আকৃষ্ট হইয়াছিল। সে রাত্রিতে প্রথম আমি দেখিয়াছিলাম যে, তৃতীয় ঘোড়ার উপর বলদের ছালার ন্যায় তাহারা দুইদিকে র বোঝা রাখিয়াছিল। বোধ হয়, একদিকে প্রতিমা, অপর দিকে সিংহাসন ও পূজার রাখিয়াছিল। সিংহাসন হইতে মূৰ্ত্তি পৃথক ছিল, সেজন্য তখনও লোহার দ্রব্য টান। তাহার পর মাঠে প্ৰতিমার আকর্ষণশক্তি লোপ হইয়াছিল। তাহার পর সিংহাসনের উ রাখিয়া ঘোড়ার উপর সেইভাবে বোঝাই দিয়া তাহারা পলায়ন করিয়াছিল। আমারাষ্ট্ৰীধ হয়, লৌহদ্রব্যসমূহ এই কারণে শূন্যপদে ভ্ৰবণ করিয়াছিল।” స్టో লম্বোদর জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তুমি যে গল্পটি করিলে, উহার কোন প্রমাণ আছে?” ডমরুধর উত্তর করিলেন,- “প্ৰমাণ নাই? নিশ্চয় আছে। সে চাবির থোলা এখনও আমার ঘরে আছে। বল তো এখনি আনিয়া দেখাই । অষ্টম পরিচ্ছেদ কুম্ভীর-বিভ্ৰাট শঙ্কর ঘোষ জিজ্ঞাসা করিলেন, — “শুনিয়াছি যে সুন্দরবনে নদীনালায় অনেক কুমীর আছে। তোমার আবাদে কুমীর কিরূপ?” ডমরুধর বলিলেন,- “কুমীর! আমার আবাদের কাছে যে নদী আছে, কুমীরে তাহা পরিপূর্ণ। খেজুর গাছের মত নদীতে তাহারা ভাসিয়া বেড়ায়, অথবা কিনারায় উঠিয়া পালে পালে তাহারা রৌদ্র পোহায়। গরুটা, মানুষটা, ভেড়াটা, ছাগলটা, বাগে পাইলেই লইয়া যায়। °***fF° gfGrRIlg{ °i12,35 (q35 zx8! ~ www.amarboi.com ~ br^እ»