পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহিষ্ণুৱে ২৭শে সেপ্টেম্বর, ১১ই আশ্বিন, রবিবার, বিজয়াদশমী।।- আজ আমাদের মহিষ্ণুর যেতে হবে, কারণ আজ অপরাত্নকালে মহিষ্ণুরে যে দশহরার শোভাযাত্রা বের হয়, তা এই দক্ষিণাঞ্চলে—সুধু দক্ষিণাঞ্চলে কেন, সমগ্ৰ ভারতবর্ষেই একটা দেখবার মত জিনিষ। কয়েক দিন আগে আমবা যখন মাদ্রাজ থেকে বাঙ্গালোরে আসছিলাম, তখন গাড়ীতে নানা শ্রেণীর যাত্রীর ভিড় দেখে কারণ অনুসন্ধানে জানতে পেবেছিলাম, এই সব যাত্রী এখন থেকেই দশহরার শোভাযাত্রা দেখাব জন্য মহিষ্ণুরে যাচ্ছে। বিজয় দশমীর আট দশ দিন আগে থেকেই যাত্রী যেতে আরম্ভ হয়। এর থেকেই বুঝতে পারা যায় যে, দশহাবাব শোভাযাত্রা দেখবার প্রলোভন এ অঞ্চলের লোকের কত বেশী। আমরা সুদূর বাঙ্গালা দেশ থেকে মহিষ্ণুৱেব এত নিকটে এসে এমন শোভাযাত্রা দেখব না, তা কি হয়। সেই জন্য শ্ৰীযুক্ত মহারাজাধিরাজ বাহাদুর আমাদেব আজ প্ৰাতঃকালে সাতটা কুড়ি মিনিটের গাড়ীতে মহিষ্ণুর যাবার ব্যবস্থা করবাব কথা তার প্রাইভেট সেক্রেটারী শ্ৰীমান ললিতকে আদেশ করেছিলেন। এই দশহরা পৰ্ব্ব উপলক্ষে যে সমস্ত সন্ত্রান্ত অতিথি মহিষুরে সমাগত হবেন, তঁদের ব্যবস্থার ভার পেয়েছিলেন বাঙ্গালোরেরই একজন উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী শ্ৰীযুক্ত রাম রাও মহাশয়। তার সঙ্গে শ্ৰীমান ললিতের বন্ধুত্ব ছিল। ললিত শ্ৰীযুক্ত রাম রাওকে পত্র লিখেছিলেন যে, তিনি যেন আমাদের এই শোভাযাত্রা দেখবার একটু সুব্যবস্থা করে দেন ; অর্থাৎ আমরা মহিষ্ণুর মহারাজের