পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যাহ সাড়ে বারটার সময় আমাদের গাড়ী ত্ৰিচিনোপলী ষ্ট্রেসনে পৌছিল। সেলুনখানি সাইডিংয়ে কেটে রেখে গাড়ী চ’লে গেল। পূর্বের ষ্টেসনেই আমাদের কক্ষে যে বিছানা ও সুটকেস প্রভৃতি ছিল, সমস্ত নিয়ে সেলুনে তুলে রাখা হয়েছিল। আমরা গাড়ী থেকে নেমে পড়লাম। " এই ত্ৰিচিনোপলীর পাশ্ববৰ্ত্তী বিখ্যাত শ্ৰীরঙ্গমের সন্ত্রান্ত অধিবাসী ও স্বদেশনায়ক কাউন্সিল অব ষ্ট্রেটের মেম্বর মাননীয় শ্ৰীযুক্ত রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার মহাশয়কে আমাদের সেই দিনে ত্ৰিচিনোপলী উপস্থিত হ’বার সংবাদ দেওয়া ছিল ; এবং আমরা যে মোটর যোগে তাঞ্জোর যাব, তার ব্যবস্থা করবারও সংবাদ দেওয়া ছিল । এতদ্ব্যতীত আমাদের মধ্যাকু-ভোজনের আয়োজন-সহ ষ্ট্রেসনে উপস্থিত থাকবার কথাও বলা ছিল। শ্ৰীযুক্ত রঙ্গস্বামী আয়েঙ্গার মহাশয় সেদিন বিশেষ প্রয়োজনীয় কাৰ্য্য-উপলক্ষে মাদ্রাজে থাকায় ষ্টেসনে আসতে পারেন নাই ; উর্তাহার কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস আয়েঙ্গার মহাশয় সদলবলে অর্থাৎ যথেষ্ট খাদ্যসম্ভার সহ ষ্টেসনে উপস্থিত ছিলেন। ভদ্রলোক এত অধিক পরিমাণে নানাবিধ খাদ্যদ্রব্য এনেছিলেন যে, আমাদের সকলের তিন বেলা তাতেই চ’লে যেতে পারে। তখন ষ্টেসনের বিশ্রাম-গৃহ ছেড়ে আমাদিগকে সেলুনে যেতে হোলো। মহারাজ বললেন “আমরা এই সকল সুখাদ্যের একটু একটু আস্বাদ নিয়েছি ; আপনারাও নিন। ওরে বাবা, কিছু যদি মুখে দেওয়া যায়। এদের যা উৎকৃষ্ট খাদ্য, তাই এরা এনেছে ; কিন্তু এ সব পোলাও মিষ্টান্ন মুখে দেওয়া যে আমাদের পক্ষে অসম্ভব-একেবারে তেঁতুল আর লঙ্কার মহাধিবেশন।” তারপর শ্ৰীমান ললিতের দিকে চেয়ে বললেন “দেখুন, ললিত কিন্তু গাড়ীতে খাবার তৈরী করবার বিরোধী ছিল । ও বলেছিল, “ভদ্রলোকদের খাবার আনবার জন্য সংবাদ দেওয়া owee