পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের পাশ্বে দণ্ডায়মান। আমরা যানের গতিরোধ করে মোটরে কর্ণধারকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম যে, বিশেষ কিছু হয় নাই, টায়াদে একটু দোষ হয়েছে, দশ-পনার মিনিটের মধ্যেই মেরামত হয়ে যাবে শ্ৰীযুক্ত ধিরাজকুমার বললেন “মহারাজের গাড়ী চলে গিয়েছে, আপনারাও যান, দশ পনব মিনিট পাবে আমরাও আসছি।” আমরা তখন তঁদের জন্য অপেক্ষা না করে অগ্রসর হলাম ।। ২১ মাইল গিয়ে দেখি, আমাদের কোন গাড়ীই আসতে না দেখে মহারাজ এক বৃক্ষমূলে অপেক্ষা কৰছেন। আমবা বিলম্বেব কারণ বললাম। প্রায় দশ মিনিট অপেক্ষা কবেও যখন দ্বিতীয় গাড়ী দেখতে পাওয়া গেল না, তখন আমি বললাম “পথের মধ্যে সবাই ব’সে থেকে কি হ’বে। আপনি অগ্রসব হ’ন। আমবা এখানে প্ৰতীক্ষা কবি। তঁাবা এলে দুই গাড়ী একসঙ্গে ছাড়ব।” মহারাজ তাঁহাই সুযুক্তি মনে কবে চ’লে গেলেন। আমবা সেইখানে ব’সে রইলাম । চাবটা বেজে গেল, তখনও তাদের দেখা নেই। আমি খন বললাম “তাঞ্জোর দেখা হয় হবে, না হয় না হবে, পিছনের গাড়ী এলে আমবা তাঞ্জোবের দিকে যাব না । এখানে ব’দে থাকার চাইতে দশ মাইল ফিবে গিয়ে দেখি, তঁদের কি অবস্থা হয়েছে।” তাই স্থির হোলো । আমরা মোটব ফিরিয়ে দ্রুতগতি সেই এগার নম্ববে গিয়ে দেখি, সে মোটরখানি একেবারে • বিগড়ে গিয়েছি, তার আর চলাবার শক্তি নেই। তখন আমাদের মোটবেই তাদের তিনজনকে তুলে নেওয়া হোলো। শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস আয়েঙ্গাব মহাশয় মোটাল-চালনার ভাব নিলেন । তিনি আশ্বাস দিলেন যে, যে কোরেই হোক আমাদের দিনের আলো থাকতে থাকতে তাঞ্জোরে পৌঁছিয়ে দেবেন এবং তা হোলেই তাড়াতাড়ি মন্দিরগুলি দেখা হবে। তথাস্তু! যখন আমরা ত্ৰিশ মাইল গিয়েছি, সম্মুখে আরও ছয় মাইল বাকী, sibly