পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই মন্দির-গাত্রে মূৰ্ত্তি উৎকীর্ণ করে আীনশ্বর করেছে। এই লোৰ্কটী ভবিষ্যৎ ভারতের ইতিহাস ও রাষ্ট্র পরিবর্তন সম্বন্ধে বিশেষ বিবরণ এই বৃহদীশ্বর মন্দিরের বিমানে মূৰ্ত্তির দ্বারা প্ৰকাশ করে গিয়েছে। এই দেশে চোল রাজবংশের পর যে নায়কদিগের অধিকার সংস্থাপিত হ’বে, তার পর যে মহাৰাষ্ট্ৰীয়েব এ-দেশে আধিপত্য বিস্তার করবে এবং তার পর যে ইউরোপীয়গণ এ-দেশে প্রাধান্য লাভ করবে, এই ভবিষ্যৎ ইতিহাস স্থপতিবরের ভবিষ্যদদৃষ্টির সম্মুখে প্ৰতিভাত হ’য়েছিল। তাই সে মন্দিরের বিমানে বিভিন্ন রাজবংশের ইতিহাস ও মোটামুটি ঘটনাবলী মূৰ্ত্তির সাহায্যে দেখিয়েছিল। এই স্থানে আমার কিন্তু একটা খটকা লেগেছিল। স্থপতি মহাশয় বিভিন্ন অধিকারের চিত্র দিতে গিয়ে মুসলমান রাজবংশকে বাদ দিলেন কেন? দক্ষিণাত্যে হিন্দুবাজত্বের অবসানে মারাঠাদের আমলে ত মুসলমানগণ এই প্রদেশে আধিপত্য বিস্তার কবেছিল। তাদের কথা বা তাদের চিত্র এই মন্দিরগাত্রে দেওয়া হয় নাই কেন ? যদি বলা হয় যে, হিন্দুর মন্দিরে অন্য ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের চিত্র ধৰ্ম্মনুমোদিত হ'বে না বলেই স্থপতি সেটা বাদ দিয়েছেন, কিন্তু, সে কথাও ত খাটে ন। ইউরোপীয়ানগণও ত বিধৰ্ম্ম! সে বিচাবের ভার ইতিহাসিকের উপর দিয়ে, আমরা সেই স্থপতি-প্রবারের স্মৃতির প্রতি আমাদেব শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করছি। সত্য সত্যই, যে ব্যক্তি তাঞ্জোবের এই সুবৃহৎ মন্দিরের পরিকল্পনা করেছিল এবং তা মূৰ্ত্ত করে তুলেছিল, সে ব্যক্তি সকলেরই নমস্য। সুধু তাঞ্জোর ব’লে নয়, দক্ষিণাপথে যেখানে যে সকল মন্দির দেখেছি, তার সকলেরই নিৰ্ম্মাতা এই দেশেরই লোক। ইহা কি কম গৌরবের কথা ! বৃহদীশ্বর মন্দিরের পরই তাঞ্জোরের অপর দ্রষ্টব্য স্থান রাজপ্ৰাসাদ। অনেকখানি জমি জুড়ে এই বহু পুবাতন রাজপ্রাসাদ। ইহার চারি SSSR