পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিহিত করা হয়, তাহার পূর্ব নাছিল লক্ষ্মী-বিলাস। এই লক্ষ্মীবিলাসু দরবার-গৃহে বিজয় রঙ্গনাথ নায়কের রােজ্যাভিষেক-ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। তাহা হইলে এই দরবার-গৃহ যে সপ্তদশ শতাব্দীর পূর্বে নিৰ্ম্মিত হয়েছিল, এ কথা বলা যেতে পারে। বৃহদীশ্বরের মন্দির যে অতি পুবাতন, তারও প্রমাণ পাওয়া যায়। চোল রাজ রাজরাজেশ্বর এই মন্দিরের জন্য বহু অর্থ ও ভূমি দান করে গিয়েছিলেন। এই রাজা অতি প্ৰতাপশালী ছিলেন। তিনি সমগ্র মাদ্রাজ অঞ্চল নিজ রাজ্যভুক্ত করেছিলেন। বোম্বাই প্রদেশেরও অনেক স্থান তিনি অধিকার করেছিলেন ; এমন কি সিংহল দ্বীপও তিনি দখল করেছিলেন । র্তার কীৰ্ত্তি-কাহিনী ‘রাজরাজেশ্বর নাটক” মক একখানি দৃশ্যাকাব্যে লিপিবদ্ধ আছে। পণ্ডিতেরা বলেন, এই দৃশ্যকাব্যখানি ১০৫৫ খৃষ্টাব্দে রচিত হয়েছিল। তা হলে, এ কথা বলা যেতে পারে যে, বৃহদীশ্বরের মন্দির খৃষ্টিয় একাদশ শতকের অনেক পূর্বে নিৰ্ম্মিত হয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য তাঞ্জোর সহরটীি আমরা সন্ধ্যার অন্ধকারে দেখেছিলাম। সুতরাং সহরের বর্ণনা অন্ধকারাচ্ছন্নই থাকিল। এইবার আমাদের ফিরবার ব্যবস্থা। তখন প্রায় ৭টা, আমাদের ট্ৰেণ ত্ৰিচিনোপলী থেকে রাত্রি ৯-৪০ মিনিটে ছাড়বে। এই অন্ধকারে যেতে হবে ৩৬ মাইল পথ । আকাশে তখন ঘন মেঘ। একখানি মোটর নিয়ে আমরা চারি জনে যাত্রা করলাম। আমাদের মনে হয়েছিল, শ্ৰীযুক্ত মহারাজাধিরাজ বাহাদুর ছেলেদের নিয়ে হয় ত পূৰ্বেই বেরিয়ে গেছেন। তাঞ্জোর থেকে তিন মাইল গেলে একটা পুলিশ ষ্ট্রেসন পাওয়া যায়। আমাদের গাড়ী যখন সেই পুলিশ ষ্টেসনের সম্মুখে এল, তখন পুলিশের লোকেরা আমাদের গাড়ী আটকিয়ে ৰূলল যে, G38